আগস্ট ১, ২০২৫, ০৬:৫৫ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটিতে বন্দুকধারীর হামলায় নিহত বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তা দিদারুল ইসলামের জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্রঙ্কসের পার্কচেস্টার মসজিদে দিদারুলের জানাজা হয়। তাতে অংশগ্রহণ করেন হাজার হাজার মানুষ।
জানাজার পর দিদারের মরদেহ নিয়ে যখন দাফনের উদ্দেশে গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তখন পুলিশের চারটি হেলিকপ্টার টহল দেওয়ার মাধ্যমে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানায়।
এদিকে দিদারুলকে ‘প্রথম গ্রেডের ডিটেকটিভ’ হিসেবে মরনোত্তর পদোন্নতি দিয়েছে নিউ ইয়র্ক পুলিশ। জানাজার আগে এ পদোন্নতির ঘোষণা আসে নিউইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্টের কমিশনার জেসিকা টিশের কাছ থেকে।
দিদারুল ইসলামের বাড়ি মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায়। প্রায় সাড়ে তিন বছর ধরে তিনি নিউ ইয়র্ক পুলিশ বিভাগে কাজ করে আসছিলেন। তিনি সেখানে মা-বাবা, দুই ছেলে ও অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন।
সোমবার এক অস্ত্রধারী ম্যানহটনের একটি ভবনে ঢুকে দিদারুলসহ চারজনকে গুলি চালিয়ে হত্যা করে। এরপর আত্মহত্যা করে হামলাকারী।
নিউ ইয়র্কের মেয়র এরিক অ্যাডামস সেদিন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, দিদারুল ইসলাম বাংলাদেশ থেকে অভিবাসী হয়ে এসে নিউ ইয়র্কে থিতু হয়েছিলেন। তিনি ছিলেন মা-বাবার একমাত্র সন্তান।
দিদারুলের জানাজায় শরিক হয়েছিলেন সিটি মেয়র এরিক এডামস, স্টেট গভর্নর ক্যাথি হোকুল, মেয়র পদে ডেমক্র্যাটিক প্রার্থী জোহরান মামদানি, স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যান্ড্রু ক্যুমো, রিপাবলিকান পার্টির মেয়র প্রার্থী কার্টিস স্লিওয়াসহ হাজার হাজার মানুষ।
জানাজা ও দাফনের আগে দিদাদের স্ত্রী লিখিত বক্তব্যে বলেন, “দিদার ছিলেন আমাদের সবকিছু। তার এই মৃত্যু আমাদেরকে একেবারেই মুষড়ে ফেললেও গৌরববোধ করছি যে, এই আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে ওই লবির অন্যদের জীবন বেঁচেছে।”