এপ্রিল ২৬, ২০২২, ১২:৩৭ পিএম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “একদিকে আধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলছি, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিচ্ছি। পাশাপাশি আমাদের যেসব মানুষ একেবারে ছিন্নমূল, যাদের কোনো ভবিষ্যৎ নেই, যারা কখনো স্বপ্নও দেখতে পারে না। যারা একমুঠো খাবার জোটাতে পারে না, সেই মানুষগুলোর ভাগ্য পরিবর্তন করাই হচ্ছে আমাদের সরকারের সবচেয়ে বড় লক্ষ্য। আর সেই লক্ষ্য বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।”
মঙ্গলবার আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় তৃতীয় ধাপে ঈদ উপহার হিসেবে ৪৯২ টি উপজেলার ভূমিহীন ও গৃহহীন ৩২ হাজার ৯০৪টি পরিবারকে ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ওই অনুষ্ঠানে ভার্চু্য়ালি যুক্ত হন।
বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, “জাতির পিতার স্বপ্নের বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে উঠবে। তিনি সব সময় বলতেন, প্রতিটি মানুষ খাদ্য পাবে, আশ্রয় পাবে, উন্নত জীবনের অধিকারী হবে। আমিও জাতির পিটার সেই আদর্শ নিয়েই কাজ করে যাচ্ছি।”
তিনি বলেন, শুধু ছিন্নমূল মানুষ না, দেশে যারা কুষ্ঠ রোগী, তাদেরকে আশ্রয়ণের মাধ্যমে পুনর্বাসন করেছি। যারা বেদে, নৌকায় বসবাস করতো, তাদেরকে আমরা ঘরবাড়ি তৈরি করে দিয়েছি। অবহেলিত জনগোষ্ঠী হিজড়াদেরও আমরা স্বীকৃতি দিয়েছি, তারা তাদের পরিবারেই থাকতে পারবেন। তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থাও আমরা করে দিয়েছি।
শেখ হাসিনা বলেন, “আমরা আদর্শ নিয়ে রাজনীতি করি। বাংলাদেশের মতো দেশ, যেখানে অনেক সীমাবদ্ধতা আছে, যেখানে অনেক বড় দেশ কল্পনাও করতে পারে না, আমরা কিন্তু করেছি। করোনার টিকা থেকে শুরু করে সবকিছু। করোনার টিকা কেনার টাকা হিসেব শুধু তার করলে হবে না। এটা দেওয়ার পক্রিয়ায় কত হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে। আমরা কিন্তু বিনা পয়সায় দিয়েছি। অনেক উন্নত দেশ এটা দিতে পারে নাই।”
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “আমরা নিজের পায়ে দাঁড়াবো। কারো কাছে ভিক্ষা চেয়ে নয়। আত্মমর্যাদা নিয়ে বিশ্বে উন্নত সমৃদ্ধ জাতি হিসেবে আমরা চলবো।”
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবৃন্দ, আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ এবং সরকারের পদস্থ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
৪৯২টি উপজেলায় একযোগে যুক্ত ছিল এই অনুষ্ঠানে। ভিডিও কনফারেন্সে চারটি উপজেলার আশ্রয়ণ প্রকল্পের উপকারভোগীরা সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন।