কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) এবং দেশের ৪টি উপজেলা, ৫টি পৌরসভা ও দেড়শতাধিক ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) আজ ভোট।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশনের অধীনে এটাই প্রথম নির্বাচন। সক্ষমতা ও গ্রহণযোগ্যতা প্রমাণে বর্তমান কমিশনের জন্য কুমিল্লার ভোটকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা।
সাধারণ মানুষ মনে করছেন, এ ভোট নতুন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জন্য আস্থা অর্জনের প্রথম পরীক্ষা। এর মধ্যদিয়ে ইসির গ্রহণযোগ্যতার প্রাথমিক মাপকাঠি অনেকাংশে নির্ভর করছে। যার প্রভাব পড়বে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে।
বিশেষ করে ইভিএম নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই তৃণমূল পর্যায়ে বড় আকারে এ মেশিনের মাধ্যমে ভোট নিতে যাচ্ছে কমিশন। এ জন্য নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা এ নির্বাচনকে ইসির প্রথম অ্যাসিড টেস্ট বলে মনে করছেন। যদিও ভোটের আগের দিন বিভিন্ন স্থানে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনাও ঘটেছে বলে জানা গেছে।
বুধবার শুধু কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নয়, আরও ৫টি পৌরসভা ও ১৩২টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোট নেওয়া হচ্ছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। তবে প্রচারে সামনে রয়েছে কুমিল্লার নির্বাচনই। ফলে দেশের সবারই চোখ থাকছে কুমিল্লায়। আর সেই কোটি চোখের দৃষ্টি যেন শ্যেন না হয়ে ওঠে, সেজন্য কুমিল্লায় ইভিএমের মাধ্যমেও সুষ্ঠু ভোট আয়োজনে এ প্রথম ক্যামেরার চোখ বসিয়েছে ইসি। সাড়ে আটশর মতো সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে সাড়ে ছয়শ ভোটকক্ষে।