দেশের প্রতিটি হাসপাতালেই নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট-আইসিইউ) চালু করা হবে। মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে দুই দিনব্যাপী তৃতীয় ডার্মাটোলোজি আন্তর্জাতিক সম্মেলন অংশ নিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রতিটি হাসপাতালে অন্তত ১০টি করে আইসিইউ সুবিধা চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, করোনা সংক্রমণের মধ্যেই দেশের স্বাস্থ্য খাতের উন্নতি হচ্ছে। স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ৮ টি নতুন হাসপাতাল নির্মাণের কাজ চলছে।
করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে থাকায় এত বড় অনুষ্ঠান আয়োজন সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা সংক্রমণ প্রায় দুই মাসের বেশি সময় ধরে শনাক্তের হার এক শতাংশের মধ্যে। করোনা সংক্রমণে নিয়ন্ত্রণ না থাকায় অনেক দেশের জিডিপি নিচে নেমে গেছে। কিন্তু আমাদের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে থাকায় প্রবৃদ্ধি ভালো ছিল।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা নিশ্চিতে ২১ কোটি টিকা কেনা হয়েছে। ইতিমধ্যে সাড়ে ১১ কোটি টিকা দেশে আসছে। সাড়ে ৮ কোটি মানুষকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা হয়েছে। আজ বস্তিবাসীরাও টিকা পাচ্ছেন।
বাংলাদেশ অ্যাকাডেমি ডার্মাটোলজি দাবির পরিপ্রেক্ষিতে চর্ম ইনস্টিটিউটের বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, আমি যদি বেঁচে থাকি এবং যথাযথ কাজ করে যেতে পারি তাহলে অবশ্যই এ ধরনের একটা ইনস্টিটিউট স্থাপন করা হবে। আমরা ইতিমধ্যে বান অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট করেছি।