দৌলতদিয়ায় ট্রলারে ডাকাতি হয়েছে। এমন খবর পেয়ে অভিযান শুরু করে নৌ পুলিশ। ডাকাতরা ততক্ষণে ফরিদপুর।ফরিদপুর নৌ পুলিশ অভিযান শুরু করে জানতে পারে ডাকাতরা বঙ্গবন্ধু সেতু পার হচ্ছে। ডাকাতদের ট্রলারের স্পিড অনেক বেশি। এসময় নৌপুলিশ তাদের বিশেষ ২০০ হর্স পাওয়ারের স্পিড বোট নিয়ে অভিযানে নামে।
ডাকাতরা বঙ্গবন্ধু সেতু থেকে মাওয়া হয়ে মুন্সিগন্জের দিকে অগ্রসর হতে থাকে। এভাবেই লৌহজং দিয়ে চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে প্রবেশ করলে ডাকাতরা বুজতে পারে নৌ পুলিশ তাদের ঘিরে ফেলে।
এসময় ডাকাতরা পুলিশের উপর গুলি ছোড়া শুরু করলে পুলিশও পাল্টা গুলি ছুঁড়তে থাকে। ডাকাতরা এরপর পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের ধরে ফেলে।প্রায় ৪ ঘণ্টা ফিল্মি স্টাইলে ধাওয়া করার পর ডাকাতদের ধরতে সক্ষম হয় নৌ পুলিশ।
বুধবার দুপুর সাড়ে বারোটায় নৌ পুলিশের সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় নৌ পুলিশের প্রধান শফিকুল ইসলাম।
তিনি জানান, এসময় ডাকাতদের কাছ থেকে চারটি দেশীয় অগ্নেয়াস্ত্র, একটি ট্রলার, এগারো রাউন্ড গুলি,একটি স্পীড বোর্ডের লক কার্টার বড়ও মেশিন, নয়টি মোবাইল ফোন,ছয়টি ধারালো ছেনি সহ ডাকাতি করা চৌত্রিশ লক্ষ একষট্টি হাজার আটশত চল্লিশ টাকা সহ সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়।
মঙ্গলবার প্রায় ৮০ জন গরুর বেপারি হাট শেষে বাড়ি ফেরার পথে দৌলতদিয়ায় ৬নং ঘাটে ডাকাতির ঘটনা ঘটে।