আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে ৪৫০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তবে এ বিষয়ে আইএমএফের পক্ষ থেকে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।
সোমবার (৩০ জানুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে আইএমএফ-এর নির্বাহী বোর্ডের সভায় বাংলাদেশের ঋণ প্রস্তাবটি অনুমোদন দেয়া হয়।
অর্থমন্ত্রী এক বিবৃতিতে ঋণ অনুমোদনের তথ্য জানিয়ে বলেন, ‘আমরা অবশ্যই আইএমএফের প্রতি এই ঋণের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। বিশেষ করে আইএমএফের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক অ্যান্তইনেত মনসিও সায়েহ ও মিশনপ্রধান রাহুল আনন্দসহ যে দলটি এই ঋণের বিষয়ে বাংলাদেশ সফর করেছিলেন, তাদের প্রতি জানাই ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।’
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার এবং অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব ফাতিমা ইয়াসমিনসহ অর্থ মন্ত্রণালায়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা যারা এই ঋণ প্রোগ্রাম নিয়ে কাজ করেছেন তাদের প্রতিও রইল আমার কৃতজ্ঞতা।’
আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, অনেকেই সন্দেহ পোষণ করেছিলেন যে আইএমএফ হয়তো বা এই ঋণ দেবে না। তারা ভেবেছিল আমাদের সামষ্টিক অর্থনীতির মৌলিক এলাকাসমূহ দুর্বল তাই আইএমএফ এ ঋণ প্রদান থেকে বিরত থাকবে।
তিনি আরও বলেন, এ ঋণ অনুমোদনের মাধ্যমে এটাও প্রমাণিত হলো যে, আমাদের সামষ্টিক অর্থনীতির মৌলিক এলাকাসমূহ শক্ত ভিতের উপরে দাঁড়িয়ে আছ এবং অন্যান্য অনেক দেশের তুলনায় ভালো।
গত বছরের ২৪ জুলাই বাংলাদেশ সরকার ঋণ চেয়ে আইএমএফের কাছে চিঠি দেয়। পরে ১২ অক্টোবর ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংক-আইএমএফের বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিয়ে গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার ৪৫০ কোটি ডলারের ঋণসহায়তার কথা উল্লেখ করেন।
গত নভেম্বরে বাংলাদেশকে সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিতে ঢাকায় কর্মকর্তা পর্যায়ের বৈঠকে প্রাথমিক সমঝোতায় পৌঁছায় আইএমএফ। সেই ঋণচুক্তির শর্তসহ খুঁটিনাটি চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়ার মধ্যেই বাংলাদেশ সফর করেন আইএমএফের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক অ্যান্তইনেত মনসিও সায়েহ। গত ১৬ জানুয়ারি ঢাকায় সফরে এসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন তিনি। সেসময় ঋণের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়।