বিদেশ থেকে ‘কার্নেট ডি প্যাসেজ’ সুবিধায় নিয়ে আসা বিলাসবহুল ৭৯টি গাড়ি নিলামে তুলতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম কাস্টমস। গাড়িগুলো নিলামে তুলতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে ক্লিয়ারেন্স নিয়েছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের নিলাম শাখার ডেপুটি কমিশনার সন্তোষ সরেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
সংশ্লিষ্টরা জানায়, চট্টগ্রাম বন্দরে ‘কার্নেট ডি প্যাসেজ’ সুবিধায় বিভিন্ন নামিদামি ব্র্যান্ডের গাড়ি আমদানি করা হয়েছিল। কিন্তু সংশ্লিষ্ট আমদানিকারকরা গাড়িগুলো খালাস করেনি। আমদানি করা ও খালাস না হওয়া গাড়িগুলো নিষ্পত্তির জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) এক পত্রের মাধ্যমে ২০২২ সালের ২ জানুয়ারি একটি ইনভেন্ট্রি কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটি আমদানি করা ওই গাড়িগুলো সরেজমিনে পরিদর্শন করে ইনভেন্টরি প্রতিবেদন দাখিল করেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে ৭৯টি গাড়ির নিলাম করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস।
কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, বিএমডব্লিউ, মার্সিডিজ বেঞ্জ, ল্যান্ড ক্রুইজার, ল্যান্ড রোভার, জাগুয়ার, লেক্সাস ও মিটসুবিশি ব্র্যান্ডের গাড়িগুলো নিলামে বিক্রি হবে। আগামী ১৯ থেকে ২১ সেপ্টেম্বর গাড়িগুলো পরিদর্শন করতে পারবেন ক্রেতারা। ২২ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টা থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর বেলা ২টা পর্যন্ত আগ্রহী ক্রেতারা দরপত্র জমা দিতে পারবেন। দরপত্র চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, (নিচ তলা সাধারণ শাখা, রুম নং-১৩৮), কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, ঢাকা আইডিবি ভবন (৪র্থ তলা), সহকারী/ডেপুটি কমিশনার (সদর), কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, সিলেট ও নিলাম শাখা, কাস্টম হাউস, মোংলায় রক্ষিত টেন্ডার বক্সে জমা দেওয়া যাবে।
এছাড়া ব্যক্তি পর্যায়ে এনআইডি নম্বর ও টিআইএন নম্বর দিয়ে এবং প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে হালনাগাদ ট্রেড লাইসেন্স, ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন নম্বর ও টিআইএন নম্বর দিয়ে খুব সহজেই যে কেউ ঘরে বসে এই নিলাম কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
এ বিষয়ে কাস্টমস হাউসের নিলাম শাখার ডেপুটি কমিশনার সন্তোষ সরেন বলেন, দামি গাড়িগুলো নিলামের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে ক্লিয়ারেন্স পারমিট সংগ্রহ করেছি।