ডিসেম্বর ২৪, ২০২২, ১১:৫৮ এএম
আসছে ২৮ ডিসেম্বর ঢাকা নগরবাসীর বহুল প্রত্যাশিত মেট্রোরেল চলাচল উদ্বোধন হবে। ওইদিন রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে উপস্থিত থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেট্রোরেলের উদ্বোধনের পাশাপাশি আগাগাঁও থেকে উত্তরার দিয়াবাড়ি পর্যন্ত মেট্রোরেলে ভ্রমণ করবেন। পরদিন (২৯ ডিসেম্বর) সাধারণ যাত্রীদের জন্য উন্মুক্ত করা হবে মেট্রোরেল।
মেট্রোর যাত্রীদের প্রায় সবার হাতেই থাকবে মোবাইল। তিই তাঁদের নির্বিঘ্নে সেবা দিতে মেট্রোরেলের স্টেশনগুলোতে মোবাইল নেটওয়ার্ক সরঞ্জাম স্থাপন করতে চায় মোবাইল অপারেটররা। তা না হলে নিরবচ্ছিন্ন সেবা দেওয়া কঠিন হবে বলছে তারা।
এরই মধ্যে, মেট্রোরেলের উত্তরা থেকে আগারগাঁওয়ে এমআরটি লাইন-৬ এ মোবাইল নেটওয়ার্ক সুবিধা চালু করতে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডকে (ডিএমটিসিএল) গত ২৭ সেপ্টেম্বর চিঠি দিয়েছিল অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশের (অ্যামটব)। চিঠির একটি কপি বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকেও (বিটিআরসি) দেওয়া হয়।
অ্যামটব তাদের চিঠিতে উল্লেখ করেছে, প্রতিদিন অনেক মানুষ এই মেট্রোরেলের বিভিন্ন স্টেশন থেকে যাতায়াত করবে। এতে মোবাইল নেটওয়ার্কের ব্যবহার বাড়বে। স্টেশনের ভেতরে কথা বলা ও ইন্টারনেটের (ডেটা) বাড়তি চাহিদা মেটাতে মোবাইল অপারেটরদের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।
এই পরিস্থিতিতে মোবাইল অপারেটররা সমন্বিত নেটওয়ার্ক সুবিধা স্থাপন করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। টিকিট কাউন্টার, প্ল্যাটফর্ম, লাউঞ্জ, ফুড স্টল অর্থাৎ যেখানে লোকসমাগম বেশি হবে, সেখানে এসব নেটওয়ার্ক সুবিধার জন্য অ্যানটেনা বসানো হবে। এতে স্টেশনে চলাচলকারী যাত্রীরা নির্বিঘ্নে মোবাইল নেটওয়ার্ক পাবেন।
অ্যামটব বলছে, তারা ইতিমধ্যে প্রস্তুত থাকা ৯টি স্টেশনে প্রযুক্তিগত জরিপ ও মূল্যায়ন করেছে এবং সে অনুযায়ী পরিকল্পনাও করেছে। চিঠির সঙ্গে ডিএমটিসিএলকে খসড়া পরিকল্পনাও দিয়েছে তারা।