সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজা আজ বাদ জোহর মানিক মিয়া এভিনিউয়ে অনুষ্ঠিত হবে। জানাজায় অংশ নিতে রাজধানীর বিভিন্ন মেট্রোরেল স্টেশনে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। ছবি : বাসস
বিএনপি চেয়ারপার্সন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজা আজ বাদ জোহর মানিক মিয়া এভিনিউয়ে অনুষ্ঠিত হবে। জানাজায় অংশ নিতে রাজধানীর বিভিন্ন মেট্রোরেল স্টেশনে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
জানাজাকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মেট্রো স্টেশনগুলোতে এমআরটি পুলিশের তৎপরতা চোখে পড়ার মতো।
অন্যদিনের তুলনায় মেট্রোরেলের সচিবালয়, শাহবাগ, ফার্মগেট ও বিজয় সরণীসহ গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনগুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। স্টেশনে প্রবেশের সময় যাত্রীদের তল্লাশি করা হচ্ছে এবং সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। জানাজায় অংশ নিতে আসা যাত্রীরা সুশৃঙ্খলভাবে টিকিট কেটে মেট্রোরেলে উঠছেন। তবে, টিকিট কাউন্টার ও পাঞ্চিং গেটগুলোতে দীর্ঘ লাইনের কারণে কিছু স্থানে বেশ ভিড় দেখা গেছে।
নরসিংদী থেকে আসা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী তরুণ দল কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও নরসিংদী জেলা তরুণ দলের সাধারণ সম্পাদক মো. সজল মিয়া বাসস’কে বলেন, আজ সকালে নরসিংদী থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিই। পথে তীব্র যানজট থাকলেও মেট্রোরেলের মাধ্যমে যাত্রা অব্যাহত রাখি। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে আমরা অনেক কষ্ট করে ঢাকায় এসেছি। তিনি এই দেশের জন্য তাঁর জীবনের পুরো সময় উৎসর্গ করেছেন। তাঁর জানাজায় শরিক হয়ে রুহের মাগফিরাত কামনা করাই আমাদের মূল উদ্দেশ্য।
খুলনা থেকে আসা রূপসা থানা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খায়রুল রাজু বলেন, খুলনা থেকে ছাত্রদলের ব্যানারে ভোর ৫টায় ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে সকাল সাড়ে ৯টায় পৌঁছাই। রেল ও সড়কপথে ছাত্রদলের প্রায় দেড় হাজার নেতা-কর্মী এসেছেন। পাশাপাশি যুবদলের ব্যানারে প্রায় ২ হাজার এবং খুলনা জেলা যুবদলের আরো ২ হাজার নেতা-কর্মী ঢাকায় এসেছেন। আসার পথে কোনো ধরনের ভোগান্তি হয়নি। জানাজা শেষে খুলনায় ফিরে বেগম খালেদা জিয়ার স্মরণে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হবে। একই সঙ্গে অসহায় মানুষ ও পথশিশুদের মাঝে শীতবস্ত্র ও খাবার বিতরণ করা হবে।
নড়াইল জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সালেহা বেগম বাসস’কে বলেন, সুদূর নড়াইল থেকে বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে ঢাকায় এসেছি। আমাদের পক্ষ থেকে তিনটি বাসে এবং ভেঙে ভেঙে আরো অনেকে এসেছেন।
এদিকে, এমআরটি পুলিশের ডিআইজি সিদ্দিকী তাঞ্জিলুর রহমান বাসস’কে বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার জানাজাকে কেন্দ্র করে মেট্রোরেল স্টেশনগুলোতে যাত্রী সমাগম বেড়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে সকাল ৯টা থেকে বিকেল পর্যন্ত অতিরিক্ত এমআরটি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বিশেষ করে বিজয় সরণীসহ গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনগুলোতে সিনিয়র অফিসারদের নেতৃত্বে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। টিকিট কাটা ও পাঞ্চিং প্রক্রিয়ায় কিছুটা সময় লাগায় সাময়িক ভিড় সৃষ্টি হলেও পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।