পবিত্র ঈদ উল ফিতর উদযাপন করতে ঈদের দ্বিতীয় দিনেও নাড়ির টানে ঘরমুখো হয়েছেন অনেক যাত্রী। আবার ঈদ উদযাপন শেষে কর্মস্থলে ফিরতে রওনা হয়েছেন খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালীসহ দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার অনেক মানুষ। এমতাবস্থায় শিমুলিয়া ফেরিঘাটে দুই ধরণের যাত্রীদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, শনিবার (১৫ মে) মকালে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে কর্মস্থলমুখী ও ঘরমুখী যাত্রীদের চাপ লক্ষ্য করা গেছে। পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন শেষে রাজধানীর কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার অনেক মানুষ। অপরদিকে ঈদের আগে বাড়ি ফিরতে না পারা অনেক যাত্রী রাজধানী থেকে বাড়ি ফিরছেন। একারনে পদ্মা নদীর শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুট উভয়মুখী যাত্রীদের চাপ দেখা দিয়েছে।
স্খানীয় সূত্র জানায়, যারা ঈদের আগে কোনো কারণে বাড়ি ফিরতে পারেনি, তাদের অনেকে শনিবার ভোর থেকেই শিমুলিয়া ঘাটে ভিড় জমান। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে কর্মস্থলে যোগ দিতে ঈদফেরত যাত্রীদের চাপ বাড়তে থাকে।
এদিকে, শিমুলিয়া ঘাটে যাত্রীদের পাশাপাশি চারশতাধিক ছোটবড় যানবাহনকেও নদী পারাপারে ফেরির জন্য অপেক্ষায় থাকতে দেখা যায়। যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) এই রুটের জন্য ১৬টি ফেরির সবগুলো সচল রয়েছে।
ঈদ উদযাপন করতে বাড়িতে যাওয়া এসব যাত্রীদের চাপ সামলাতে শিমুলিয়া ঘাটে পুলিশের তৎপরতা চোখে পড়ে।
মাওয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সিরাজুল কবির দ্য রিপোর্টকে বলেন,‘ ঈদের পরের দিন আজও (শনিবার) সকালে কয়েক শ মানুষ ফেরিতে নদী পার হওয়ার জন্য ঘাটে এসেছেন। এসব যাত্রীর ভোগান্তি কমাতে আমরা চেষ্টা করছি। আর তাই যাত্রীদের লাইন দিয়ে ফেরিতে ওঠানো হচ্ছে।’
এদিকে, শিমুলিয়া ঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) প্রফুল্ল চেীহান গণমাধ্যম বলেন, সকাল থেকে উভয়মুখী চাপ রয়েছে। কয়েকটি ফেরিতে শুধু যাত্রী পার করা হয়েছে। ঘাট এলাকায় প্রায় চার শতাধিক ছোট বড় যানবাহন পারের অপেক্ষায় রয়েছে।’ এ নৌরুটে বর্তমানে ১৬টি ফেরি চালু রয়েছে বলেও তিনি জানান।