দেশের সব নাগরিককে পেনশনের আওতায় আনতে ‘সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা বিল–২০২২’ জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করা হয়েছে।
সোমবার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্বে একাদশ জাতীয় সংসদের ১৯তম অধিবেশনে এ বিল উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
‘সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা বিল–২০২২’ বিলটি পাসে হলে আইনি ভিত্তি তৈরি হবে। আগামী দুই মাসের মধ্যে বিলটি পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়েছে।
বিলটি পাস হলে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন হবে।
বিলে বলা হয়েছে, জাতীয় পরিচয়পত্রকে ভিত্তি ধরে সর্বজনীন পেনশনের আওতায় ১৮ বছর বা তার বেশি বয়স থেকে ৫০ বছর বয়সী সব বাংলাদেশি নাগরিক অংশ নিতে পারবেন। বিশেষ বিবেচনায় পঞ্চাশোর্ধ্ব ব্যক্তিদেরও এর আওতায় রাখার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। তবে মাসিক পেনশন–সুবিধা পেতে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পর চাঁদাদাতাকে ধারাবাহিকভাবে কমপক্ষে ১০ বছর চাঁদা দিতে হবে। বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশি কর্মীরাও এতে অংশ নিতে পারবেন। তবে চাঁদার হার এখনও নির্ধারণ করা হয়নি।
বিলে ১৬ সদস্যের একটি পরিচালনা পর্ষদ গঠনের বিধান রয়েছে। এর চেয়ারম্যান হবেন অর্থমন্ত্রী।