জামালপুরে সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম হত্যা মামলার প্রধান আসামি সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
শুক্রবার (২৩ জুন) দুপুর দেড়টায় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর আহমেদের আদালতে তোলা হলে এই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন বাবু চেয়ারম্যান। জবানবন্দি রেকর্ড করে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২২ জুন) চার দিনের রিমান্ড শেষে রেজাউল করিম ও মনিরুল ইসলাম মনির আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এই নিয়ে প্রধান আসামিসহ তিন জনের জবানবন্দি রেকর্ড করা হলো।
রবিবার (১৮ জুন) সাংবাদিক নাদিম হত্যা মামলার প্রধান আসামি বাবুর পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এ সময় তার ১২ সহযোগীর মধ্যে রেজাউল ও মনিরসহ ছয় জনের চার দিন আর বাকি ৬ জনকে তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
নাদিম হত্যা মামলায় গ্রেফতার হওয়া ১৩ জন আসামিকে রবিবার আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে ভিন্ন মেয়াদে এই রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
শনিবার (১৭ জুন) পঞ্চগড়ে মামলার প্রধান আসামি ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু, জাকিরুল ও মনিরকে আটক করে র্যাব। পরে বগুড়া থেকে আটক করা হয় রেজাউলকে। রোববার দুপুরে চার জনকে আদালতে সোপর্দ করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সোহেল রানা।
তবে এখনও বাবু চেয়ারম্যানের ছেলে রিফাতের কোনো হদিস এখনও পাওয়া যায়নি।
শনিবার বকশীগঞ্জ থানায় সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুকে প্রধান আসামি করে ২২ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ২০-২৫ জনকে আসামি করে সাংবাদিক নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম বকশীগঞ্জ থানায় মামলাটি করেন।
হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ও প্রধান আসামি বাবু চেয়ারম্যান গ্রেফতারে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন মনিরা বেগম।
তিনি মামলার ২ নাম্বার আসামি ও বাবু চেয়ারম্যানের ছেলে ফাহিম ফয়সাল রিফাতের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের ফাঁসির দাবিও জানিয়েছেন মনিরা।
বুধবার (১৪ জুন) রাতে বকশীগঞ্জের মোড়ে সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিমের ওপর হামলা চালানো হয়। পরদিন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নাদিম।