হাওর অঞ্চলের প্রতিটি সড়ক এলিভেটেড করা হবে: প্রধানমন্ত্রী

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৩, ০৫:৪৮ পিএম

হাওর অঞ্চলের প্রতিটি সড়ক এলিভেটেড করা হবে: প্রধানমন্ত্রী

অবাধ পানি প্রবাহ ও নিরাপদ মৎস্য উৎপাদনের জন্য হাওর অঞ্চলের প্রতিটি সড়ক এলিভেটেড করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।মঙ্গলবার কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামিদ সেনানিবাস উদ্বোধনের সময় এ কথা বলেন তিনি।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সরকারপ্রধান আরও বলেন, “আমি এরই মধ্যেই জমি ভরাট না করে হাওর, বিল ও জলাভূমি এলাকার প্রতিটি রাস্তা এলিভেটেড করার নির্দেশনা দিয়েছি।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বর্ষা মৌসুমে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ ও মাছের চলাচল যেন বাধাগ্রস্ত না হয় এবং নৌকাসহ মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা যেন ব্যাহত না হয়- সেজন্য সব সড়ক এলিভেটেড করা হবে।”

হাওর এলাকাগুলোর সার্বিক নিরাপত্তা বজায় রাখতে এই সেনানিবাসটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে আশাবাদ ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন,“উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে আমাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও শক্তিশালী করা হবে “

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের ইচ্ছা অনুযায়ী এই সেনানিবাস স্থাপন করা হয়েছে জানিয়ে  প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, “বীর মুক্তিযোদ্ধা রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ১৯৭০ সালের নির্বাচনের পর হতে এ এলাকা থেকে বারংবার নির্বাচিত হয়ে জনগণের সেবা করেছেন। এই প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের পাশে থেকে এবং তাদের সুখ-দুঃখের সঙ্গী হয়ে তিনি তাদের ভাগ্য পরিবর্তনে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন।”

সরকারপ্রধান আরও বলেন, “রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর এই এলাকার সার্বিক উন্নয়নের লক্ষে তিনি এখানে একটি সেনানিবাস স্থাপনের ইচ্ছা করেন। তার ইচ্ছা অনুযায়ী আমরা এই সেনানিবাস স্থাপন করেছি।”    

রাষ্ট্রপতির বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, “ আবদুল হামিদ ডেপুটি লিডার, ডেপুটি স্পিকার, স্পিকার এবং শেষ পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির মতো পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। তিনি যে পদেই ছিলেন- সেখানেই অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে তার দায়িত্ব পালন করেছেন। এমনকি তিনি তার টানা দ্বিতীয় মেয়াদেও সফলভাবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। তাই, আমরা তার নামে সেনানিবাসের নামকরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

মঙ্গলবার এদিন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের আমন্ত্রণে তার পৈতৃক নিবাস কামালপুরে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।দুপুর পৌনে ১টার দিকে সেখানে পৌঁছান তিনি। এসময় রাষ্ট্রপতি ও তার সহধর্মিণীসহ অন্যান্যরা প্রধানমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।

জানা গেছে, জোহরের নামাজ শেষে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে একই টেবিলে দুপুরের খাবার খান প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীকে হাওরের ১৯ প্রজাতির মিঠাপানির মাছ এবং ঐতিহ্যবাহী অষ্টগ্রামের পনির দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়।

Link copied!