এপ্রিল ২৫, ২০২৩, ০৬:৩৩ পিএম
সুদানে সেনাবাহিনী ও আধা-সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) মধ্যে বিবাদমান লড়াইয়ে অন্তত চার শতাধিক লোক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন তিন হাজারের বেশি। রাজধানী খার্তুমসহ বিভিন্ন শহরে আটকা পড়েছে বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকেরা।
এরই মধ্যে তাদের নাগরিকদের পাশাপাশি ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশের কিছু মানুষকেও সুদানের বাইরে নিয়ে এসেছে। জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য তাদের কূটনীতিকদের সরিয়ে নিয়ে গেছে।
বাংলাদেশ সরকারও সুদানে আটকে পড়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনার কাজ শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
মঙ্গলবা্র নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টের মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
দ্য রিপোর্ট ডট লাইভের পাঠকদের জন্য ফেসবুকের ওই পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো—
‘সুদানে অবস্থানরত বাংলাদেশি নাগরিকদের নিরাপদে অন্য দেশের মাধ্যমে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার কার্যক্রম শুরুর সিদ্ধান্ত হয়েছে। খারতুমে বাংলাদেশ দূতাবাস ইতিমধ্যে এই বার্তা সেখানে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের মধ্যে প্রচার শুরু করেছে।
আইনশৃংখলা পরিস্থিতির উপরে নির্ভর করবে, কিভাবে কোন পদ্ধতিতে তারা যাত্রা করবেন।
সবাইকে দূতাবাসের নির্দেশনা মেনে রেজিষ্ট্রেশন এবং প্রয়োজনীয় কাজ করার অনুরোধ করছি।
বাংলাদেশের সাংবাদিকদের অনুরোধ করছি দূতাবাসে যোগাযোগ না করার জন্য। কারণ সকলেই ব্যস্ত এবং রুটগুলো নিরাপত্তার খাতিরে না জানানোই ভালো।
আমরা সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।’
প্রসঙ্গত. সুদানে বর্তমানে ৭২ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। সোমবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে ৭২ ঘণ্টার এই যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে বলে যুক্তরাজ্যের গণমাধ্যম সংস্থা বিবিসি’র প্রতিবেদনে বলা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ১৫ এপ্রিল সংঘাত শুরুর পর এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো যুদ্ধবিরতিতে রাজি হলো বিবাদমান দুই গ্রুপ। আগের দুইবারের যুদ্ধবিরতির মধ্যে হামলা, বিস্ফোরণ ও গোলাগুলির খবর পাওয়া গেলেও এবার যুদ্ধবিরতি বাস্তবেই কার্যকর হয়েছে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন,টানা দুইদিন আলোচনার পর সেনাবাহিনী ও আধা-সামরিক র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) ৭২ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতির বিষয়ে সম্মত হয়।
মূলত লড়াইয়ের ফলে রাজধানী খার্তুমে আটকে পড়া বেসামরিক জনগণ ও বিদেশিদের সরে যাওয়ার সুযোগ দিতেই এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। সৌদি আরব এরই মধ্যে তাদের নাগরিকদের পাশাপাশি ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশের কিছু মানুষকেও সুদানের বাইরে নিয়ে এসেছে। জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য তাদের কূটনীতিকদের সরিয়ে নিয়ে গেছে।