“আয়ু থাকতে যত নির্বাচন হবে সবগুলোতে নির্বাচন করার ইচ্ছে আছে”

জাতীয় ডেস্ক

ডিসেম্বর ২, ২০২৩, ০৩:২৫ পিএম

“আয়ু থাকতে যত নির্বাচন হবে সবগুলোতে নির্বাচন করার ইচ্ছে আছে”

ছবি: মো. আব্দুল আলী বেপারী

পর পর  টানা তিন বার  ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দাঁড়িয়েছিলেন মানিকগঞ্জের বাসিন্দা মো. আব্দুল আলী বেপারী। এবার তিনি মানিকগঞ্জ-১ আসন থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন মো. আব্দুল আলী বেপারী। তিনি ঘিওর উপজেলার সিংজুরী ইউনিয়নের বেড়াডাংগা গ্রামের কিয়ামুদ্দিনের ছেলে।

জেলা প্রশাসকের অফিসের বারান্দায় এক প্রতিবেদকের সাথে কথা হয় এমপি প্রার্থী ষাটোর্ধ আব্দুল আলী বেপারীর। 

তিনি বলেন, “২০১১, ২০১৬ সর্বশেষ ২০২১ সালে আমি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করে সব চেয়ে কম ভোট পেয়ে ফেল করেছি। আমাকে মানুষ ভোট দেয় না! স্বতন্ত্র হিসেবে আমি দেখবো আমার নিজের ভোটটি নিজে দিতে পারি কিনা সেটিই দেখার জন্য ভোটে দাঁড়িয়েছি। আমাকে যদি কারো ভালো লাগে তাহলে সে দিবে না হলে আমার ভোট  আমি  আমি নিজে দিব।”

আব্দুল আলী বলেন, “আমার স্ত্রীসহ বাড়ির লোকজন আমাকে ভোট দিল কি-না এ নিয়েও আমার কোনো মাথাব্যথা নেই। মানুষের জন্য কিছু করতে চাওয়া থেকে নির্বাচনে আসা।”

তিনি জানান, ইউনিয়ন পরিষদে প্রথম নির্বাচনে আট প্রার্থীর মধ্যে ষষ্ঠ আর সর্বশেষ ইউপি নির্বাচনে ৬৩ ভোট পেয়েছিলেন। তিনি একসময় ঢাকায় ইট, বালু সাপ্লাই ব্যবসা করতেন। এখন দুই বছর ধরে অবসরে আছেন। শরীরটাও ভালো যাচ্ছে না। এমপি হয়ে জনগণের জন্য জানপ্রাণ দিয়ে সেবা করতে চান।

ষাটোর্ধ এই প্রার্থী বলেন, “আমার স্ত্রী নির্বাচন করতে নিষেধ করা সত্ত্বেও পালিয়ে এসে মনোনয়নপত্র কিনেছি। সর্বশেষ ইউপি নির্বাচনের সময় নমিনেশন কিনে স্ত্রীর ভয়ে অন্যের বাড়ি রেখে এসেছিলাম। বাড়ি আসার পর আমার স্ত্রী দা নিয়ে আমার দিকে আসে। পরে দৌড়ে প্রাণে রক্ষা পাই। আমার আয়ু থাকতে যত নির্বাচন হবে সবগুলোতে নির্বাচন করার ইচ্ছে আছে।”

নির্বাচনে আসার পেছনের ইতিহাস বলতে গিয়ে মো. আব্দুল আলী বেপারী জানালেন, “বিএনপি নেতা খন্দকার দেলোয়ার হোসেন বেঁচে থাকতে গ্রামের বাড়ি ঘিওরের পাচুরিয়া এসেছিলেন। ওই নেতার বাড়ির বিল্ডিংয়ের কাজের ইট বালু সাপ্লাই দিতাম। 

খন্দকার দেলোয়ারকে একাধিকবার অনুরোধ করেছিলাম বাড়ির রাস্তাটি করে দেওয়ার জন্য। প্রতিউত্তরে খন্দকার দেলোয়ার বলেছিলেন, ‘আমার মতো কিছু একটা হয়ে রাস্তা করে নিও’। সেই কথায় প্রথমে ইউপি নির্বাচন পরে এমপি পদে নির্বাচন করতে এসেছি।”

Link copied!