অক্টোবর ১২, ২০২৩, ০৪:৪৬ এএম
নাইকো দুর্নীতি মামলায় সাক্ষ্য দিতে কানাডার রয়েল মাউন্টেড পুলিশের দুই সদস্য ঢাকায় আসছেন। আদালত সূত্রে জানা যায়, ২৮ অক্টোবর তারা বাংলাদেশে আসছেন। তবে এফবিআই কর্মকর্তা কবে আসবেন তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
বুধবার হাই কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিদেশি সাক্ষীকে দেশে আসার অনুমতি এখতিয়ার বহির্ভূত। আমরা এই অনুমতির আদেশ চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে আবেদন করেছি।’
গত ১৭ সেপ্টেম্বর নাইকো দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে তিন বিদেশি সাক্ষীকে দেশে আসার অনুমতি দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান।
তিন বিদেশি সাক্ষীর মধ্যে একজন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-এফবিআইয়ের; বাকি দুজন কানাডার রয়্যাল মাউন্টেড পুলিশের কর্মকর্তা।
খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে তিন বিদেশিকে সাক্ষী হিসেবে উপস্থাপন করতে সমন ইস্যুর আবেদন করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
তবে খালেদা জিয়ার পক্ষে আমিনুল ইসলাম এর বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন, অ্যাটর্নি জেনারেল সারাদেশের সব মামলায় শুনানিতে উপস্থিত থাকতে পারেন। কিন্তু তার আবেদন করার এখতিয়ার নেই। আমরা এর বিরোধিতা করছি। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তিন বিদেশি সাক্ষীর সাক্ষ্য দেওয়ার আবেদন মঞ্জুর করেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলছেন, সাংবিধানিক ক্ষমতা বলেই দেশের যে কোনো আদালতে উপস্থিত হতে পারেন তিনি।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘বিদেশি সাক্ষীদের বিষয়ে ওনাদের এত ভয় কেন? ওনাদের তো অবশ্যই ওয়েলকাম করা উচিত। কারণ, বিদেশিরা তো কারও পক্ষে এসে বলবে না। তারা যেটা সত্য, সেটাই বলবে। সংবিধানের সাথে অন্য কোনো আইনের যদি সাংঘর্ষিক হয়, সেই আইনটা বাতিল হবে। সেখানে সংবিধানে কি বলা আছে? ৬৪–তে অ্যাটর্নি জেনারেলের নিয়োগ হয়, ৬৪–এর–৩–এ বলা হচ্ছে বাংলাদেশের যে কোনো আদালতে অ্যাটর্নি জেনারেল বক্তব্য রাখার অধিকারী।’
২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর খালেদা জিয়াসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে কানাডিয়ান প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে মামলা করে দুদক।