সেপ্টেম্বর ৭, ২০২৫, ১২:২৮ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নুরুল হক ওরফে ‘নুরাল পাগলার’ দরবারে পুলিশের ওপর হামলার মামলায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শনিবার রাতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে রোববার সকালে জানিয়েছেন গোয়ালন্দ ঘাট থানার মো. রাকিবুল ইসলাম।
গ্রেপ্তাররা হলেন, গোয়ালন্দ উপজেলার বালিয়াডাঙ্গি গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে হিরু মৃধা (৪০), দেওয়ান পাড়া গ্রামের জহির উদ্দীনের ছেলে এনামুল হক জনি (৩২),কাজিপাড়া গ্রামের আরিফ কাজির ছেলে অপু কাজি (২৫), দেওয়ানপাড়া গ্রামের আফজাল সরদারের ছেলে মো. শাফিন সরদার (১৯) ও দক্ষিণ উজানচর গ্রামের আক্কাস মৃধার ছেলে মাসুদ মৃধা।
এর আগে শুক্রবার বিকালে গোয়ালন্দ পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের জুড়ান মোল্লাপাড়ায় এলাকায় নুরাল পাগলের দরবার শরীফে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
নিজেকে ইমাম মাহাদি দাবি করা নুরুল হক সম্প্রতি মারা যাওয়ার পর মাটি থেকে কিছুটা উপরে কবর তৈরি করে তাকে দাফন করা হয়। কবরটিতে কাবা শরিফের আদল দেওয়া হয়। এ নিয়ে তৌহিদী জনতার মধ্যে গত কয়েকদিন ধরেই উত্তেজনা চলছিল। স্থানীয় প্রশাসন দুপক্ষকে সঙ্গে নিয়ে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছিলেন।
ওসি রাকিবুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার জুমার নামাজের পর বিক্ষোভ সমাবেশ করে তৌহিদী জনতা। বিক্ষোভ থেকে নুরাল পাগলের দরবার শরীফে হামলা চালানো হয়। পাল্টা আক্রমণ করেন নুরাল পাগলের ভক্তরা। এ সময় সংঘর্ষে একজন নিহত ও অর্ধশত মানুষ আহত হন।
“পরে নুরাল পাগলের দরবার শরীফে ঢুকে আগুন ধরিয়ে দেয় তৌহিদী জনতা। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলে পুলিশের ওপরও হামলা চালানো হয়, ভাঙচুর করা হয় পুলিশের গাড়ি।”
এ ঘটনায় অজ্ঞাত সাড়ে তিন হাজার মানুষকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে বলে জানান ওসি। শুক্রবার রাত ১২টার পর গোয়ালন্দ ঘাট থানার এসআই সেলিম বাদি হয়ে মামলাটি করেন।
ওসি রাকিবুল বলেন, মামলার বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।