জুলাই ২৯, ২০২৪, ০৮:২৬ পিএম
ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের কাছে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও বাংলাদেশ সরকারের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদের ছেলে সোহেল তাজ প্রশ্ন করেছেন, “যে ছয়জন সমন্বয়ককে ডিবিতে রাখা হয়েছে তাদের গ্রেপ্তার নাকি সেইফ কাস্টডিতে রাখা হয়েছে?”
সোমবার (২৯ জুলাই) সন্ধ্যায় ডিবি কার্যালয় থেকে বের হয়ে তিনি বলেছেন, “সেইফ কাস্টডি হলে দেখা করতে চাই। আর যদি গ্রেপ্তার হয় তবে আমার কোনও প্রশ্ন নেই।”
সাধারণ নাগরিক হিসেবে বাংলাদেশের সব মানুষের মতোই উদ্বেগ প্রকাশ করে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশে মেধা দিয়ে যোগ্যতা, চিন্তার স্বাধীনতা থাকবে, ক্ষুণ্ন হচ্ছে। কোটা আন্দোলন নিয়ে অশান্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে। শত শত প্রাণহানি ক্ষত তৈরি করেছে। বিবেককে নাড়া দিয়েছে। যে কারণে আমি ডিবি কার্যালয়ে এসেছি।”
ডিবিপ্রধান সোহেল তাজকে জবাব দিয়েছেন, “৬ সমন্বয়ক নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন। সেজন্য তাদেরকে হেফাজতে আনা হয়েছে। তবে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া দেখা করা যাবে না।”
কখন সেইফ কাস্টডি থেকে মুক্তি দেওয়া হবে- এই প্রশ্নের জবাব ডিবিপ্রধান হারুন বলেন, “ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যখন নির্দেশ দেবে।”
ব্রিফিংয়ে সোহেল তাজ বলেন, “কোটা আন্দোলনে ক্ষয়ক্ষতি কিছুই না। যে সম্পদ ধ্বংস হয়েছে সেগুলো গড়ে নেওয়া যাবে। একটি প্রাণও কী ফেরত পাবো? প্রাণের মূল্য কোটি কোটি টাকার বেশি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান ছাত্রছাত্রীর বুকে আর একটি গুলিও যেন না লাগে।”
সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানান, প্রতিটি হত্যাকাণ্ড সুনির্দিষ্টভাবে স্বাধীনভাবে করতে হবে। কোনওভাবেই বিচার বহির্ভূত হত্যা করা যাবে না। এ সময় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে গ্রেপ্তার করা থেকে বিরত থাকারও আহ্বান জানান তিনি।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তাজউদ্দিন-পুত্র বার্তা দেন, “আশা ছাড়া যাবে না। ধৈর্য ধরতে হবে। দেশটা তোমাদের। তোমাদেরই এই দেশ গড়তে হবে। সুসময় আসবে।”