মে ৩০, ২০২৫, ১১:৪৭ এএম
ছবি: সংগৃহীত
জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যে বিভিন্ন খাতে ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ সমঝোতা স্মারক ও সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই চুক্তিগুলোর লক্ষ্য দুই দেশের মধ্যকার অর্থনৈতিক, প্রযুক্তিগত ও কৌশলগত সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করা। এছাড়া বাজেট সহায়তা, রেলপথের উন্নয়ন এবং অনুদান হিসেবে বাংলাদেশকে ১০৬ কোটি ডলার দেবে জাপান।
শুক্রবার, ৩০ মে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে এই ছয়টি সমঝোতা স্মারক ও সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়।
এগুলোর মধ্যে ‘অর্থনৈতিক সংস্কার ও জলবায়ু পরিবর্তনের স্থিতিশীলতা জোরদারকরণে উন্নয়ন নীতিগত ঋণ’ এবং ‘জয়দেবপুর-ঈশ্বরদী অংশে ডুয়েল গেজ ডাবল লাইন নির্মাণ প্রকল্প (পর্ব-১)’ উল্লেখযোগ্য।
চুক্তিগুলোর মধ্যে অবকাঠামো উন্নয়ন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণ, প্রযুক্তি হস্তান্তর, পোশাক খাতে কারখানা স্থাপন, জ্বালানিখাতে কৌশলগত সহযোগিতা, তথ্য নিরাপত্তা খাত এবং দেশের মধ্যে বিনিয়োগ, শিল্পোন্নয়ন উল্লেখযোগ্য।
ঢাকা ও টোকিওর মধ্যে সাক্ষরিত চুক্তির আওতায় বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংস্কার ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় ঋণ হিসেবে ৪১৮ মিলিয়ন ডলার দেবে জাপান। টোকিও জয়দেবপুর-ঈশ্বরদীকে ডুয়েল-গেজ ডাবল রেলপথে উন্নীত করার জন্য ৬৪১ মিলিয়ন ডলার এবং বৃত্তির জন্য অনুদান হিসেবে আরও ৪ দশমিক ২ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে।
বৈঠকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের অস্থায়ী আশ্রয় ও মানবিক সহায়তা প্রদানের জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী। অধ্যাপক ইউনূস বাস্তুচ্যুত এসব মানুষের প্রতি জাপানের মানবিক সহায়তা, বিশেষ করে ভাসানচরে অবস্থানরতদের প্রতি সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা জানান।