ছবি: সংগৃহীত
ঢাকার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের দুই দিন বাদে ক্যাম্পাসে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
বুধবার, ২৩ জুলাই সকাল থেকে প্রধান ফটকে ভিড় জমান আশেপাশের মানুষ। তবে প্রধান ফটক ভেতর থেকে তালাবদ্ধ থাকায় তাদের সঙ্গে সংবাদকর্মীরাও ভেতরে যেতে পারেননি।
প্রতিষ্ঠানটির একাডেমিক ডিরেক্টর মনিরুজ্জামান মিয়ার ভাষ্য, বহিরাগতরা অনেক ‘সমস্যা সৃষ্টি করে’ বলে ফটক বন্ধ রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা কার্যক্রম বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
“একটা তিনদিনের বন্ধ আছে। সকল অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ। প্রশাসনিক কার্যক্রম না। তাদের ক্লাস পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে।”
সোমবার দুপুরে বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান ঢাকার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বিধ্বস্ত হয়। এতে সার্ধশতাধিক হতাহতের ঘটনা ঘটে, যার বেশিরভাগই শিশু।
বুধবার স্কুলের সামনে অনেক ভিড় করে ঘটনার বিবরণ জানতে চাইছেন। কারো প্রশ্ন, ঘটনাস্থলে কোন কোন ক্লাস ছিল? কেউ কেউ আবার হতাহতদের তথ্য মূল ফটকে সাঁটিয়ে রাখার দাবি তোলেন।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মনিরুজ্জামান মিয়া বলেন, “ঘটনার আকস্মিকতায় দুয়েকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছি না- এমন হয়েছে। কে নিহত, কে আহত; সে ডেটাটা কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে আছে।
“কলেজ কর্তৃপক্ষ সেটা নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে শেয়ার করেছে। এবং নির্ভরযোগ্য কিছু মিডিয়াও জানে।”
ক্যাম্পাসে ঢোকা না গেলেও ভেতরের অনেকটাই দেখা যায় খালি চোখে। সেখানে একদল পুলিশকে বসে থাকতে দেখা যায়।
স্কুলের বাইরে গোলচত্বরে পুলিশের একটি দল বসে সময় পার করছে, সেখানেই আগের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ও শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেলে তাদেরকে ৯ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে এ বিক্ষোভ হয়। শিক্ষার্থীরা হতাহতদের নাম ও তথ্য প্রকাশসহ ছয় দফা দাবিতে এ বিক্ষোভ দেখান।