রাজধানীজুড়ে পরিত্যক্ত বাড়ি রয়েছে ৬ হাজার ৩৭২টি। এরমধ্যে মিরপুর এলাকায়ই সর্বোচ্চ ৩ হাজার ৫৮২টি।
বুধবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে ঢাকা-১৯ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য সাইফুল ইসলামের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানিয়েছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম ওবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।
মন্ত্রীর তথ্যমতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পরিত্যক্ত বাড়ি রয়েছে মোহাম্মদপুরে। সেখানে রয়েছে পরিত্যক্ত বাড়ি এক হাজার ৫৪২টি।
এ ছাড়া অন্য পরিত্যক্ত বাড়িগুলোর মধ্যে গুলশানে ১২৮টি, বনানীতে ৯টি, মগবাজারে ৬২টি, তেজগাঁওয়ে ৩৬, নাখালপাড়ায় ১৯টি, ক্যান্টনমেন্টে ২৬টি, বাসাবো ৩৮টি, শাহজাহানপুরে ১০টি, খিলগাঁওয়ে ১২টি, জুরাইনে ২টি, মতিঝিলে ৭২টি, রমনায় ১৫৮টি, সূত্রাপুরে ৩২০টি, লালবাগে ১৭৪টি, কোতয়ালিতে ৪৬টি, ধানমন্ডিতে ৮৮টি, লালমাটিয়ায় ২৫টি, যাত্রাবাড়িতে ৪টি ও মানিকনগরে রয়েছে ১টি।
সংরক্ষিত পরিত্যক্ত বাড়িতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণকাজে এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভাড়াভিত্তিতে বরাদ্দ করা হচ্ছে বলে জানান গণপূর্তমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, পরিত্যক্ত বাড়িগুলোর মধ্যে নির্মাণপ্রতিষ্ঠান হিসেবে ৪টি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে ২০টি ব্যবহৃত হচ্ছে।
এছাড়াও বিক্রয়যোগ্য পরিত্যক্ত বাড়িগুলো প্রধানমন্ত্রীর অনুমতিতে বিভিন্ন ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান, শহীদ পরিবার, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বরাদ্দপ্রাপ্তদের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে। গত তিন অর্থবছরে ঢাকা শহরের পরিত্যক্ত বাড়ি হতে ১২ কোটি ৬৮ লাখ ১৬ হাজার ৪২৯টা ভাতা আদায় হয়েছে। এ সময়ে বিক্রি থেকে মূল্য আদায় হয়েছে দুই কোটি ৩১ লাখ ২ হাজার ৭৩৭ টাকা।