নভেম্বর ২৪, ২০২৪, ১২:৪২ পিএম
আবার পথে নেমেছেন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকরা। ১২ দফা দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে রিকশা-ভ্যান-ইজিবাইক শ্রমিক ইউনিয়নের ব্যানারে গণঅবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়েছে।
গণঅবস্থানের ফলে হাইকোর্ট থেকে কদম ফোয়ারা এবং প্রেস ক্লাব থেকে পল্টন পর্যন্ত যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন বলে বাংলা ট্রিবিউনের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
রোববার সকাল থেকেই তারা এ কর্মসূচি শুরু করেন। আন্দোলনকারীদের ১২ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে-ব্যাটারিচালিত যানবাহন বন্ধে হাইকোর্টের আদেশ প্রত্যাহার, বিআরটিএ লাইসেন্স প্রদান, দেশের সড়ক উপযোগী নকশায় আধুনিকায়নসহ ব্যাটারিচালিত যানবাহনের যৌক্তিক রুট পারমিট দেওয়া, ব্যাটারিচালিত যানবাহন চলাচলে নীতিমালা প্রণয়ন, শ্রমিক প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে সড়ক ব্যবস্থাপনা ও পরিকল্পনা কমিটি গঠন, সড়কের লেন পদ্ধতি সচল ও সার্ভিস লেন নির্মাণ।
দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত গণঅবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন রিকশাচালক শ্রমিকরা। বাংলাদেশ উদীচী শিল্পী-গোষ্ঠী রিকশাচালকদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে গণসংগীত পরিবেশন করছে।
গত ১৯ নভেম্বর বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চ ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় তিন দিনের মধ্যে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের নির্দেশ দেন।
একইসঙ্গে এ বিষয়ে ব্যবস্থা না নেওয়া কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে রুলও জারি করেন আদালত। হাইকোর্টের আদেশের পরদিন থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ করছেন ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকরা।
বুধবার রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর দয়াগঞ্জ, মিরপুর, কল্যাণপুরসহ বিভিন্ন স্থানে সড়ক অবরোধ করেন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালকরা। বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁও, মহাখালী, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, গাবতলী ও ডেমরা এলাকায় জড়ো হন তারা। এতে এসব এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
আরও পড়ুন: মিরপুরে বাসায় আগুন, ৩ শিশুর মৃত্যু, ৭ জন দগ্ধ
শুক্রবার দুপুরে জুরাইনে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করেন ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকরা। এতে আটকা পড়ে নারায়ণগঞ্জ ও নকশিকাঁথা নামে দুটি কমিউটার ট্রেন।
এছাড়া বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সাত দফা দাবি বাস্তবায়নে সমাবেশ করেন তারা।