৫৮তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের দ্বিতীয় দিনে শনিবার শীর্ষ আলেমদের তেলাওয়াত ও কোরআনের আয়াতের ব্যাখ্যা শুনছেন মুসল্লিরা।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে ইজতেমা শুরুর পর থেকে তিনজন মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে।
বিভিন্ন দেশের আড়াই হাজারের বেশি বিদেশি হাজিসহ কয়েক লাখো মুসল্লি ইজতেমা ময়দানে সমবেত হয়ে আল্লাহর ঐশ্বরিক নাম তেলাওয়াতসহ প্রার্থনা ও ইবাদতে মশগুল রয়েছেন।
শুক্রবার ফজরের নামাজের পর মাওলানা জিয়াউল হকের আম বয়ানের মধ্যদিয়ে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু হয়।
শনিবার ফজরের নামাজের পর বয়ান করেন পাকিস্তানের মাওলানা খুরশেদ এবং তা বাংলায় অনুবাদ করেন মাওলানা ওবায়দুর রহমান।
এছাড়া বয়ান করবেন যথাক্রমে মাওলানা ইব্রাহিম দৌলা ও মাওলানা আকবর শরীফ।
এখনো দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মুসল্লিরা বাস, ট্রাক, নৌকা ও পায়ে হেঁটে তুরাগ নদীর তীরে ইজতেমা ময়দানে আসছেন।
রবিবার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে ইজতেমার প্রথম পর্ব।
আজ বাদ আসর মাঠে গণবিয়ের অনুষ্ঠান হবে।
এছাড়া ইজতেমায় হবিগঞ্জ জেলার ইয়াকুব আলী নামে এক মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দু`দিনে তিন মুসল্লির মৃত্যু হলো।
মুসল্লিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইজতেমা মাঠ ও এর আশপাশের এলাকায় সাদা পোশাকে কয়েক হাজার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
পর্যাপ্ত পানি সরবরাহ ও স্বাস্থ্যসেবাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে।
১৯৬৭ সাল থেকে তাবলিগ জামাত এই ইজতেমার আয়োজন করে আসছে। ২০১১ সালে বিপুল সংখ্যক লোকের সমাগমের জন্য ইজতেমাকে দুই পর্বে ভাগ করা হয়।