পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সাথে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকারের প্রচেষ্টার বিষয়ে আলোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক উপ-সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আফরিন আক্তার।
সোমবার (১৬ অক্টোবর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পরে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের এক বিবৃতিতে বৈঠকের আলোচনার বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়।
এ সময় মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘বাংলাদেশও অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায়।’
বৈঠক শেষে এক ফেসবুক পোস্টে আফরিন আক্তার লিখেছেন, ‘পররাষ্ট্রসচিব মোমেন এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক মাসুদ আলমের সাথে দেখা করে আমি আনন্দিত।’
বাংলাদেশে মার্কিন দূতাবাসের এক পোস্টে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে শক্তিশালী বহুমুখী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং এর বিভিন্ন দিক নিয়ে তারা আলোচনা করেছেন।
দুই দেশের ‘শক্তিশালী বহুমুখী সম্পর্ক’ এবং এর বিভিন্ন দিক নিয়েও আলোচনা হয়েছে জানিয়ে বৈঠকে বলা হয়, “যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি বিনিয়োগ ও বাণিজ্য, আমাদের দীর্ঘদিনের উন্নয়ন অংশীদারত্ব, মধ্যপ্রাচ্য, স্বাধীন ও নির্দলীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলের সাম্প্রতিক সফর, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহযোগিতা এবং বাংলাদেশের মানুষ যাতে অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে তাদের ভোটে দিতে পারে, সেজন্য সরকারের প্রচেষ্টা নিয়ে কথা হয়েছে।”
বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে বেশ সরব অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তাদের ভাষ্য, বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন দেখতে চায় ওয়াশিংটন। আর তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে নতুন ভিসানীতি চালু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর আওতায় ‘গণতান্ত্রিক নির্বাচনে বাধাদানকারীদের’ বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করেছে।
এর আগে সোমবার ভোরে বাংলাদেশে পৌঁছান আফরিন আক্তার। আগামীকাল তাঁর রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের কথা আছে। এর আগে তিনি গত বছরের নভেম্বরেও ২ দিনের সফরে বাংলাদেশে এসেছিলেন।