প্রতি বছর থার্টি ফার্স্ট নাইট অর্থাৎ ইংরেজি বছরের শেষ তারিখের রাতে আতশবাজি ও ফানুস উড়ানোর হিড়িক পড়ে যায়। এই সময় প্রায়ই ঘটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। অতীতের দুর্ঘটনা স্মরণ করিয়ে দিয়ে আতশবাজি না ফোটানো এবং ফানুস না উড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স।
রবিবার (৩১ ডিসেম্বর) ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেল থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ কথা জানান অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন।
অতীতের দুর্ঘটনার তথ্য তুলে ধরে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ফায়ার সার্ভিস জানায়, ২০২২ সালের থার্টি ফার্স্ট নাইটে আতশবাজি ফোটানো ও ফানুস উড়ানোর কারণে প্রায় ১০০টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে আনুমানিক ১৯ লাখ ৭৫ হাজার টাকা ক্ষতি হয়। আতশবাজি ফোটানো ও ফানুস উড়ানোয় ২০২১ সালে ১৬টি অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ৪ লাখ ৫ হাজার টাকার ক্ষতি হয় এবং আতশবাজির উচ্চশব্দে তানজিম উমায়ের ওরফে মাহমুদুল হাসান নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়।
২০২০ সালে ৫০টি অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ১৪ লাখ ৩৫ হাজার টাকা, ২০১৯ সালে ৭২টি অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ১৪ লাখ ৪৭ হাজার টাকা এবং ২০১৮ সালে ৪২টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রায় ৫৬ লাখ ৬ হাজার টাকার ক্ষতি হয়। এসব অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কাজ করে ফায়ার সার্ভিস ৩ কোটি ৬৯ লাখ ৯৫ হাজার টাকার সম্পদ উদ্ধার করে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে এরই মধ্যে তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ ও ইউটিউবে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য লিফলেট ও ভিডিও ক্লিপস শেয়ার করা হয়েছে। একই সঙ্গে বিশেষ করে ঢাকার ফায়ার স্টেশনসগুলোকে সতর্ক রাখা হয়েছে। এ সংক্রান্ত যেকোনো দুর্ঘটনায় দ্রুত সাড়া দেওয়ার জন্য সতর্ক অবস্থানে রয়েছে তারা।