ট্রেড লাইসেন্স ব্যতীত কোন কাগজপত্র না থাকায় রাজধানীর গুলশান ২ এর নাম্বারে কাচ্চি ভাইকে লাখ টাকা জরিমানা করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন।
বুধবার (০৬ মার্চ) দুপুর ১২ টার দিকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের অঞ্চল-০৩ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জুলকার নায়ন এর নেতৃত্বে গুলশান ও বনানী এলাকার বিভিন্ন রেস্তোরাঁ ও ভবনের অগ্নি নিরপত্তা ঝুঁকি পরিদর্শনপূবর্ক অভিযান চালানো হয়। অভিযানে এই জরিমানা আদায় করা হয়।
এসময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জুলকার নায়ন বলেন, ট্রেড লাইসেন্স ব্যতীত কোন কাগজপত্র না থাকায় কাচ্চি ভাইকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে ৩ মাসের জেল দেওয়া হয়েছে। আগামী ৭ দিনের মধ্যে ফায়ার সার্টিফিকেট, পরিবেশের ছাড়পত্রসহ সকল অনুমোদন সম্পন্ন করতে হবে। যদি কাগজপত্র না প্রস্তুত হয় তাহলে কাচ্চি ভাই সিলগালা করা হবে।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (৫ মার্চ) ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) আওতাধীন এলাকার ২টি রেস্তোরাঁয় অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় সিলগালা ও আবাসিক এলাকায় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান পরিচালনা, ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন না থাকা ও অস্বাস্থ্যকর খাবার বিক্রি করায় ৮টি রেস্তোরাঁয় মোট ১ লাখ ৫৪ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে ডিএসসিসি।
উল্লেখ্য, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে রাজধানীর বেইলি রোডের বহুতল ওই ভবনটিতে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিটের চেষ্টায় রাত ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুনে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার চারজনের দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এ ছাড়া ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের লক্ষ্যে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এরমধ্যে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) আওতাধীন ৭ সদস্যের এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে ৫ সদস্যের কমিটি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) রাতে বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে ভয়াবহ আগুনে ৪৬ জন মারা যান। ফায়ার সার্ভিসের ১৩ টি ইউনিটের কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এ ঘটনায় এখনো ছয়জন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বেশ কয়েকজন চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরেছেন। ওই ঘটনার পর রাজধানীর বিভিন্ন ভবনে, বিশেষ করে যেগুলোতে রেস্টুরেন্ট হয়েছে, সেগুলোর অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে অভিযান শুরু করেছে বিভিন্ন সংস্থা।