এনডিটিভিকে ড. ইউনূস

বাংলাদেশ অস্থিতিশীল হলে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্য ও মিয়ানমারেও প্রভাব পড়বে

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

আগস্ট ৭, ২০২৪, ০৪:০০ পিএম

বাংলাদেশ অস্থিতিশীল হলে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্য ও মিয়ানমারেও প্রভাব পড়বে

ড. মুহম্মদ ইউনূস

বাংলাদেশ অস্থিতিশীল হলে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্য ও মিয়ানমারেও প্রভাব পড়বে বলে উল্লেখ করেছেন নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সেই সঙ্গে যুবক শ্রেণির ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়া এবং বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করাও নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রথম ও প্রধান কাজ বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

বুধবার (৭ আগস্ট) ভারতের বেসরকারি টেলিভিশন এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন তিনি।

ড. ইউনূস বলেন, “আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা না গেলে এবং বাংলাদেশ স্থিতিশীল না হলে প্রতিবেশীদের পক্ষে সেটা হবে বিপজ্জনক। বাংলাদেশ অস্থিতিশীল হলে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্য ও পশ্চিমবঙ্গ এবং মিয়ানমার- সবখানেই প্রভাব পড়বে।”

যুবক শ্রেণির ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়াই প্রধান কাজ হবে উল্লেখ করে এনডিটিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ বলেন, “মনে রাখতে হবে, বাংলাদেশ ১৭ কোটি মানুষের দেশ। জনসংখ্যার বেশির ভাগই যুবক। জীবনে তারা কেউ ভোট দিতে পারেনি। সেই অধিকার ফিরিয়ে দেওয়াই হবে প্রধান কাজ। সেখান থেকেই আমাদের শুরু করতে হবে। তাদের বলতে হবে, গণতন্ত্র ফিরে আসবে। তোমরা সবাই হবে তার অংশীদার।”

‘নিজের বাবার ভাবমূর্তি নষ্ট করেছেন শেখ হাসিনাই’

ইসলামী মৌলবাদ, উগ্রপন্থা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভেঙে দেওয়া আরও একাধিক ইস্যুভিত্তিক এক প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন, “এসব ঘটনার যাবতীয় দায় শেখ হাসিনার। নিজের বাবার ভাবমূর্তি তিনিই নষ্ট করেছেন। দেশের মানুষের মন এমন বিষিয়ে দিয়েছেন যে আজ বীতশ্রদ্ধ হয়ে মানুষ এমন কাজ করছে। এর দায় শেখ হাসিনারই।”

নোবেল জয়ী এই অর্থনীতিবিদ বলেন, “আইনশৃঙ্খলা ঠিক করাই এখন ১ নম্বর কাজ, শেখ হাসিনা যে কাজে ব্যর্থ হয়েছেন। সেজন্যই তার সরকার এভাবে হুড়মুড় করে ভেঙে গেল। আইনের শাসন জারি করতে পারলে এমন হতো না। এখন দেশে যা চলছে, তা হাসিনার শাসনের ধারাবাহিকতা। আমাদের এখন এটা নিশ্চিত করতে হবে যে লোকজন উদযাপন শেষে ঘরে ফিরে যাবে। কাজে মন দেবে। মুক্তমনে কাজ করবে।”

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কী হবে, আপাতত ভারতে থাকলেও কোন দেশে যাবেন, সে সম্পর্কে তার ধারণা আছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন, “এ বিষয়ে আমি কিছুই বলতে পারবো না। কারও সঙ্গে আমার কথাও হয়নি। তবে আমার ভারতে থেকে যাওয়াটা ঠিক হবে না।”

তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশ প্রকৃত অর্থে গণতন্ত্রী হলে দেশের সংখ্যালঘুরাও নিরাপদে থাকবেন। তাদের বক্তব্য প্রাধান্য পাবে। গুরুত্ব পাবে। গ্রাহ্য হবে। সংখ্যালঘুরা ভোট দিতে পারবেন। নিজেদের প্রতিনিধি নিজেরাই বেছে নিতে পারবেন, যেমন ভারতের সংখ্যালঘুরা পেয়ে থাকেন।”

Link copied!