ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে, ২৫ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ

জাতীয় ডেস্ক

জুলাই ৫, ২০২৪, ১০:২৩ এএম

ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে, ২৫ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ

ছবি: সংগৃহীত

ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলের কারণে টাঙ্গাইল ও জামালপুরে সবগুলো নদীর পানি অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন নদী তীরবর্তী অঞ্চলের শতাধিক পরিবার। এরই মধ্যে পানি প্রবেশ করায় ২৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

শুক্রবার (৫ জুলাই) সকালে টাঙ্গাইল জেলার পা‌নি উন্নয়ন ‌বোর্ডের তথ‌্য অনুযায়ী ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার, ঝিনাই নদীর পানি বিপৎসীমার ৭৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে, ভারী বর্ষণে জামালপুরে যমুনা নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার ৯২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জামালপুর কার্যালয়ের পানি পরিমাপক আবদুল মান্নান বলেন, “যমুনার পানি দ্রুতগতিতে বাড়ছে। যেভাবে পানি বাড়ছে, এতে নতুন নতুন আরও এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনার পানি বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৯২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।”

এ বিষয়ে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফাতেমা সুলতানা বলেন, “উপজেলার ১৫টি প্রাথমিক শিক্ষা বিদ্যালয়ের মাঠে পানি ঢুকেছে। তাই শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসতে পারছে না।”

জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, “গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনার বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে পানি বেড়ে বিপৎসীমার ৯২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে ব্রহ্মপুত্রের পানি এখনও বিপৎসীমার নিচে রয়েছে।”

এদিকে টাঙ্গাইলে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার ভুঞাপুর, কালিহাতী ও সদর উপজেলার কয়েকটি গ্রাম নতুন করে বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। নদীর পানি এসব এলাকার বাড়ি-ঘর ও ফসলি জমিতে প্রবেশ করছে। এতে বিপাকে পড়েছেন এসব এলাকার লোকজন। এদিকে, বন্যা মোকাবিলায় জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসন তৎপর রয়েছে।

জেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেওয়া তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় ঝিনাই নদীর পানি জোকারচর পয়েন্টে  ৪১ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীর পানি পোড়াবাড়ি পয়েন্টে ৩৮ সেন্টিমিটার, ধলেশ্বরী নদীর পানি এলাসিন পয়েন্টে ৪১ সেন্টিমিটার, ফটিকজানি নদীর পানি নলচাপা ব্রিজ পয়েন্টে ৩০ সেন্টিমিটার, বংশাই নদীর পানি কাউলজানী পয়েন্টে ১০ সেন্টিমিটার,   মির্জাপুর পয়েন্টে ১৩ সেন্টিমিটার এবং মধুপুর পয়েন্টে ২৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিকে, পানি বৃদ্ধির কারণে কয়েকটি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নদী ভাঙন আরও তীব্র হয়েছে।

Link copied!