আগস্ট ২৫, ২০২৪, ০৫:১৯ এএম
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) স্টিকারযুক্ত গাড়ি চালিয়ে বাইসাইকেল চালককে চাপা দিয়ে জনতার হাতে আটক হয়েছেন ঢাবির উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর। তার বিরুদ্ধে পুলিশের সঙ্গে অসদাচরণ ও ঘটনাস্থলে ভিডিও ধারণের জন্য সাংবাদিককে মারধর করে ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে রাজবাড়ী জেলা পুলিশ লাইনস গেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর রাজবাড়ী জেলার পাংশার বাসিন্দা। অন্যদিকে গাড়িচাপায় আহত দিনমজুর ইমদাদুল কবির রাজবাড়ী সদরের রায়নগর গ্রামের বাসিন্দা। এখন তিনি রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ছাড়া মারধরে আহত সাংবাদিক কাজী তানভীর মাহমুদ অনলাইন পোর্টাল ঢাকা মেইলের রাজবাড়ী প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে রাজবাড়ী জেলা পুলিশ লাইনস গেটের সামনের সড়কে বাইসাইকেল আরোহী ইমদাদুল কবিরকে গাড়ি চাপা দেন ঢাবি অধ্যাপক ড. রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর। এ সময় পুলিশ লাইনসে ভেতর থেকে দুজন পুলিশ সদস্য দৌঁড়ে এলে তাদের ওপর চড়াও হন ড. রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর। খবর পেয়ে ঢাকা মেইলের রাজবাড়ী প্রতিনিধি কাজী তানভীর সেখানে উপস্থিত হয়ে দুর্ঘটনার ভিডিও ধারণ করতে থাকেন। এ সময় তার ওপর চড়াও হয়ে মারধর করে মোবাইল ছিনিয়ে নেন অধ্যাপক ড. রাশেদ আল মাহমুদ।
এ সময় গাড়িতে থাকা তার বাবা আরশেদ আলী সাংবাদিকসহ উপস্থিত জনতাকে শাসাতে থাকেন। পুলিশকে ধমক দিয়ে তারা বলেন, “আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। এ ছাড়া আমাদের পরিচয় বলবো না। আপনারা যা পারেন করেন।”
ঘটনাস্থলে সদর থানার পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত হয়ে গাড়িটি জব্দ করে থানায় নিয়ে যায়। আর স্থানীয়রা আহত বাইসাইকেল চালককে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। রাজবাড়ী সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইফতেখারুল আলম প্রধান বলেন, “থানায় আসার পর উভয়পক্ষের সিদ্ধান্তে শিক্ষক ড. রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর আহত বাইসাইকেল চালকের চিকিৎসা খরচ বহন করেছেন।”
এদিকে সাংবাদিক কাজী তানভীর মাহমুদের ওপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন জেলায় কর্মরত সাংবাদিকরা।