জাতীয় কার্যনির্বাহী কমিটি এর আত্মপ্রকাশের প্রথম দিনেই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) মনোনয়ন ফরম বিতরণের ঘোষণা দিয়েছে। ৩০০ আসনে প্রার্থী ঘোষণা দিলেও ৯০ আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত রয়েছে। বিএনএম এর মহাসচিব ড. মোহাম্মদ শাহজাহান এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
এদিকে রাতের আধারে কমিটি দেয়ার অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, সকল নিয়ম মেনে সবাইকে জানিয়ে এই কমিটি দেয়া হয়েছে। কেউ যদি মান অভিমান করে তাহলে ব্যক্তিগত বিষয়।
মেজর হাফিজ যুক্ত হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, মেজর হাফিজ যুক্ত হবে কখনও বলিনি। তবে চেয়ারম্যান পদে একটি চমক থাকবে। যে জাতীয় পর্যায়ে নেতা।
তিনি আরও বলেন, দলের মহাসচিব হিসেবে আমি আপনাদেরকে অন্তত এতটুকু আশ্বস্ত করতে পারি এই দলে অনেক চৌকস রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সম্মিলন হয়েছে। সামনে আরও হবে। নিকট ভবিষ্যতে আরও অনেক সাবেক এমপি, রাজনীতিবিদ, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের খ্যাতিসম্পন্ন আরও বহু বরেণ্য ও খ্যাতিমান লোকদের আবির্ভাব আমাদের দলে ঘটবে।
ড. মো. শাহজাহান বলেন, ইতোমধ্যেই আমাদের সাবেক সংসদ সদস্যদের মধ্যে অনেকেই যুক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ফরিদপুর ১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাহ মো. আবু জাফর বিএনএমের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হয়েছেন। ঝিনাইদহ ১ আসনের সাবেক সংসদ মো. আব্দুল ওহাব, সুনামগঞ্জ ৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য দেওয়ান শামসুল আবেদিন এবং বরগুনা ২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক আব্দুর রহমান যুক্ত হয়েছেন। ভবিষ্যতে আরও অনেক চমক আসবে।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনএম’র মহাসচিব জানান, সম্প্রতি ২০১ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়ছে। এরমধ্যে ১৬ জন স্থায়ী সদস্য রয়েছেন। এখনো বেশ কয়েকটি বড় বড় পদ খালি রয়েছে।
দলীয় চেয়ারম্যানের নাম প্রকাশ না করে তিনি বলেন, খুব শিগগিরই চেয়ারম্যানের নাম প্রকাশ করা হবে। যিনি চেয়ারম্যান হচ্ছে, তিনি দেশ ও আর্ন্তজাতিক মহলে বেশ পরিচিত মুখ। সকল রাজনৈতিক দলের নেতাদের কাছে তার গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র ড. মো. শাহজাহান বলেন, অনেকই বিএনএম’র চেয়ারম্যান হিসেবে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদের নাম বলছেন। গণমাধ্যমও আসছে। আমরা এই বিষয়ে এখনও কোনো কথা বলছি না। কে চেয়ারম্যান হচ্ছেন তা আগামী কয়েক দিনের মধ্যে জানতে পারবেন।
সংলাপ ও নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই মুর্হুতে সংলাপ নিয়ে আমাদের কিছু বলার নেই। আমরা নির্বাচন কমিশনের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী নির্বাচনে যাচ্ছি। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন প্রত্যাশা করি।
আরেক প্রশ্নের উত্তর বিএনএম’র মহাসচিব বলেন, অনেকে আমাদেরকে ‘কিংর্স পাটি’ বলে যাহা সত্য নয়। আমরা ২০১৯ সাল থেকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েছি। সেই অনুসারে কমিটি ও দলকে সংগটিত করেছি। নিয়ম মেনেই নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন পেয়েছি।
বিএনএমের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পাওয়া শাহ মো. আবু জাফর বিএনপির নির্বাহী সদস্য ও সাবেক শ্রমিক নেতা ছিলেন। ২০০৪ সালের উপনির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে ফরিদপুর-১ আসন (মধুখালী, বোয়ালমারী, আলফাডাঙ্গা) থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। আবু জাফর এর আগে নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগ এবং লাঙ্গল প্রতীক নিয়েও জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-১ আসন থেকে নির্বাচন করে ছিলেন।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, শাহ মো. আবু জাফর, মো. আব্দুল ওহাব, দেওয়ান শামসুল আবেদিন, অধ্যাপক আব্দুর রহমানসহ বিএনএমের কয়েক শতাধিক নেতাকর্মী।