নভেম্বর ১৭, ২০২৩, ১১:৩৬ পিএম
আসন্ন নির্বাচনে শর্তহীন সংলাপের আহ্বান জানিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর পাঠানো চিঠির জবাব দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এতে বর্তমান বাস্তবতায় অর্থবহ সংলাপ করার মতো যথেষ্ট সময় ও উপযুক্ত পরিবেশ নেই বলে জানানো হয়েছে।
ডোনাল্ড লুকে চিঠি লিখেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
চিঠিতে ওবায়দুল কাদের লিখেছেন, রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনী কাজে ব্যস্ত। তাই এই মুহূর্তে সংলাপ করার মতো সময় নেই। এ ছাড়া বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে অবরোধ পালন করছে। ফলে তাদের সঙ্গে সংলাপ করার পরিবেশ নেই।
ডোনাল্ড লুকে লেখা ওবায়দুল কাদেরের এই চিঠি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ আলী আরাফাত শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসে পৌঁছে দেন। ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাকটিং ডেপুটি চিফ অব মিশন আর্টুরো হাইন্স চিঠিটি গ্রহণ করেন। মোহাম্মদ এ আরাফাত এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন এরই মধ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা করেছে। ২০২৪ সালে ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের তারিখ নির্ধারিত হয়েছে। যেখানে মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৩০ নভেম্বর। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কয়েক মাস ধরে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে নিঃশর্ত সংলাপের জন্য দরজা খোলা রেখেছিল। বিএনপি এই জাতীয় সংলাপের পূর্বশর্ত হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের পদত্যাগের ওপর অনড় থাকায় সংলাপ বাস্তবায়িত হয়নি।
চিঠিতে আরও বলা হয়, বর্তমানে বিএনপি ও জামায়াত ইসলামীর মতো তাদের সমমনা মিত্ররা সরকারের পদত্যাগের দাবিতে অবরোধ এবং এই ধরনের অবরোধ কার্যকর করার উপায় হিসেবে অগ্নিসংযোগের মতো জোরপূর্বক রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করছে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২৮ অক্টোবর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত অবরোধ সমর্থকরা মোট ১৫৪টি অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটিয়েছে।
এতে বলা হয়, এভাবে চলমান অবরোধ এবং এ ধরনের কর্মসূচির প্রধান দাবির মধ্যেও যদি আওয়ামী লীগ বিএনপি ও অন্যদের সঙ্গে বসতে পারে, তবুও কোনো অর্থবহ সংলাপ হবে না। আগামী সপ্তাহে রাজনৈতিক দলগুলোকে তাদের নির্বাচনী কাজ চূড়ান্ত করতে সমস্ত সময় ব্যয় করতে হবে। ৩০০টি আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের পর্যালোচনা এবং চূড়ান্ত করা, তাদের ইশতেহার তৈরি করা, প্রচারণার কৌশল চূড়ান্ত করা, ভোটারদের কাছে প্রচারণা কাজ রয়েছে। যদি সব শর্ত একটি সংলাপের জন্য অনুকূল হয়, তবে বাস্তবের সঙ্গে অর্থপূর্ণ সংলাপ করার জন্য যথেষ্ট সময় হাতে নেই।
চিঠিতে আরও বলা হয়, আওয়ামী লীগ সব আন্তর্জাতিক বন্ধুদের সঙ্গে অংশীদারিকে গুরুত্ব দেয় এবং আশা করে যে, তারা একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন বাংলাদেশের জনগণের সামনে উপস্থাপনের জন্য সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।