বেতন বৃদ্ধির দাবিতে রাজধানীর মিরপুর ১১ নম্বর এলাকায় গত চার দিন ধরে আন্দোলন করে আসছিল পোশাক শ্রমিকরা। বৃহস্পতিবার সেই এলাকা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে এনে স্বাভাবিক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এর আগে শ্রমিকদের ওপর স্থানীয় রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের হামলার অভিযোগ উঠে। এই হামলার অভিযোগে আরও ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন আন্দোলনরত শ্রমিকরা। ফলে মিরপুর ১১ নম্বর এলাকার কয়েকটি গার্মেন্টস কর্মীদের আন্দোলন মিরপুরের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।
গত তিন দিনে শ্রমিকরা বেশ কিছু কারখানা, দোকান, বিভিন্ন পরিবহনের বাস ভাঙচুর করেন। সংঘর্ষে জড়ান স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের সঙ্গে। বাদ যায়নি শিল্প প্রতিমন্ত্রীর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশের মিছিল। তবে এই ঘটনায় কতজন আহত হয়েছে সেটি নিশ্চিত হওয়া যায় নি।
পরিবহন শ্রমিকরা বলছেন, ১১ নম্বর পূরবী এলাকা দিয়ে কোনো গাড়ি যেতে দিতো না আন্দোলনরত শ্রমিকরা। কোনো গাড়ি যাওয়ার চেষ্টা করলেই ভাঙচুর করা হত।
মিরপুরের সর্বশেষ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপির মিরপুর বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) নাজমুল হাসান বলেন, ‘বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক। গার্মেন্টস শ্রমিকদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
সংঘর্ষের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘শ্রমিকদের ভেতরে কিছু অবরোধের পক্ষের নাশকতাকারী ঢুকে গেছে বলে আশঙ্কা করছি। তারা বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করছে। ছোট একটা সংঘর্ষ হয়েছে। আমাদের কয়েকজন পুলিশ সদস্য অল্প আহত হয়েছে।’