ডিসেম্বর ১১, ২০২৩, ০৯:০৯ এএম
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার যাচাই-বাছাইয়ে বাদ পড়া প্রার্থীদের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে আপিল করে শুনানির মাধ্যমে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ৫১ জন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে নির্বাচন ভবন মিলনায়তনে এ শুনানি হয়। ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত শুনানি চলবে।
সোমবার সকাল ১০টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে আপিল শুনানি শুরু হয়।
দ্বিতীয় দিনের শুনানিতে ৪১ প্রার্থীর আপিল খারিজ করে কমিশন। একটি আপিলের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তই হয়নি।
দ্বিতীয় দিন মোট ১০০টির মধ্যে ৯২টি আবেদন নিষ্পত্তি করা হয়। এর মধ্যে বাতিল হয়েছে ৪১ জনের আপিল। আর বাকি ৮ জনের আবেদন নিষ্পত্তি করেনি কমিশন।
সোমবার সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে শুনানি চলে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
এর আগে, প্রথমদিনে ৯৪ জনের আবেদন নিষ্পত্তি করে ইসি। ৫৬ জন প্রার্থিতা ফিরে পান। আর বাতিল হয় ৩২ জনের আবেদন। এছাড়াও ৬ জনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত পরে জানানো হবে বলে জানায় কমিশন।
আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে সব আপিলের নিষ্পত্তি করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে নির্বাচন কমিশন।
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেন দুই হাজার ৭১৬ জন। যাচাই-বাছাইয়ে মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছিল ৭৩১ জনের। গত শনিবার শেষ হয় প্রার্থিতা বাতিলের বিরুদ্ধে ৫ দিনের আপিলের সময়। শনিবার শেষ দিনে প্রার্থিতা ফিরে পেতে আপিল করেন ১৩০ জন।
৫ দিনে মোট আবেদন জমা পড়ে ৫৬১টি। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই স্বতন্ত্র প্রার্থী। এ ছাড়া অন্তত ১১ জনের মনোনয়ন বৈধতার বিরুদ্ধেও আপিল করা হয়েছে। আগামী ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত আপিলের ওপর শুনানি চলবে।
মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়াদের অধিকাংশই স্বতন্ত্র প্রার্থী। তাঁদের দাবি, মনোনয়নপত্রে ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর সংগ্রহ করাই মূল চ্যালেঞ্জ। এ ছাড়া খেলাপি ঋণ ও তথ্য গরমিলের অভিযোগে বাদ পড়েছেন অনেকে।