ইলিশ ধরার জালে ধরা পড়ছে পাঙাশ

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

নভেম্বর ১০, ২০২৪, ০৩:৩০ পিএম

ইলিশ ধরার জালে ধরা পড়ছে পাঙাশ

ছবি: সংগৃহীত

গত ৩ নভেম্বর ইলিশ ধরার ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে। নিষেধাজ্ঞার শেষে মুন্সীগঞ্জ-শরীয়তপুরের সীমানাধীন পদ্মানদীতে জেলেরা নদীতে নামলেও ইলিশ ধরার জালে ধরা পরছে বড় বড় পাঙাশ। এতে পাঙাশের বাজারে স্বস্তি ফিরলেও স্বস্তি ফিরেনি ইলিশের বাজারে। সরবরাহ কম থাকায় ইলিশের দামও বেশ চড়া।  

গত  শুক্রবার ও শনিবার  মুন্সীগঞ্জের মাওয়া, হাসাইল ও দিঘিরপাড় মৎস্য আড়তে ৪ কেজি থেকে শুরু করে প্রায় ১৫ কেজি ওজনের পাঙাশ বিক্রি করেছেন জেলেরা।

ব্যবসায়ীরা জানান, সাগরের মাছ মুন্সীগঞ্জে না আসায় এবং নদ-নদীতে কাঙ্ক্ষিত মাছ না পাওয়ায় দাম বেশি। তবে ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞা শেষে মুন্সীগঞ্জসহ পাশের শরীয়তপুর মাদারীপুর জেলার সীমানাধীন পদ্মানদীতে জাল ফেলে আশানুরূপ ইলিশ না পেলেও পাঙাশ পাচ্ছেন জেলেরা। আর সেই পাঙাশ বিক্রি করে ভালো দাম পাওয়ায় খুশি জেলেরা। গত বুধবার, বৃহস্পতিবার , শুক্রবার ও শনিবার মুন্সীগঞ্জের মাওয়া, হাসাইল ও দিঘিরপাড় মৎস্য আড়তে ৪ কেজি থেকে শুরু করে প্রায় ১৫ কেজি ওজনের পাঙাশ বিক্রি করেছে জেলেরা। ৮০০-১০০০ টাকা কেজি দামে পাইকারদের কাছে বিক্রি করছেন আড়তদাররা। একই দামে আড়তদারদের কাছ হতে কিনতে পারছেন সাধারণ ক্রেতারাও।

হাসাইল এলাকার এক জেলে বলেন, ‘ইলিশের অভিযান শেষে হলে নদীতে মাছ ধরতে যাই। এ সময় ইলিশ আসার কথা থাকলেও ইলিশ না এসে বড় বড় পাঙাশ এসেছে। আড়ৎগুলোতে ভালো দাম পাওয়ায় আমরা খুশি।’

 এক মৎস্য আড়ৎদার  বলেন, ‘প্রতি বছরেই এ সময় জেলেরা বড় বড় পাঙাশ পেয়ে থাকেন। এবারো তার ব্যতিক্রম হয়নি। গত বছর হাসাইল আড়তের এক জেলে এক ক্ষেপে সর্বোচ্চ ৮০ পিস পাঙাশ পেয়েছিল। এ বছর এখনও পর্যন্ত ২৫০ পিস পাঙাশ পাওয়ার কথা শুনেছি।’

জুবায়ের নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞা শেষে ইলিশ কিনতে ঘাটে আসছিলাম। কিন্তু দাম অনেক বেশি। তাই ইলিশ না কিনে বন্ধুরা মিলে পাঙাশ মাছ কিনলাম। বড় পাঙাশ কেটে ভাগ করে নিয়ে যাচ্ছি। ইলিশের দামের যে অবস্থা দাম যদি এমন থাকে বেশিরভাগ মানুষ ইলিশ খেতে পারবে না।’

মুন্সীগঞ্জ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আসিফ আল আজাদ বলেন, ‘বাজারদর নিয়ন্ত্রণ ও সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে বাজার মনিটরিংয়ে টাস্কফোর্স কাজ করছে। আমরা নিয়মিত বাজারে অভিযান চালাচ্ছি।’

Link copied!