সারাদেশে বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে ভারী বৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত এই বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় দেশের বিভিন্ন জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। এর ফলে জনদুর্ভোগ চরমে উঠেছে। পাশাপাশি চট্টগ্রাম বিভাগে পাহাড়ধসের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
দুই দিনের ভারী বৃষ্টিতে খাগড়াছড়িতে চেঙ্গী নদীর পাহাড়ি ঢলে শতাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। নোয়াখালীতে ঘরবাড়ি, অফিস-আদালত, পথঘাট পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
নোয়াখালীতে সর্বোচ্চ বৃষ্টি রেকর্ডের ফলে সেখানকার জেলা জজ আদালত, জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়, জেলা আবহাওয়া অফিস, জেলা মৎস্য, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি জেলা ইউনিট ভবন, গণপূর্ত বিভাগসহ সরকারি-বেসরকারি অফিস এবং জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারে বাংলো, মাইজদী হাউজিং এস্টেটসহ বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় পানি উঠে গেছে। এ ছাড়া রাঙামাটিতে পাহাড়ধসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি এড়ানোর জন্য রাঙামাটি জেলা প্রশাসনকে পুরো রাঙামাটি শহরের পাহাড় ধস ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় মাইকিং করতে দেখা গেছে।
এদিকে চাঁদপুরের বিভিন্ন সড়কে পানি উঠে গেছে। নগরবাসীর অসচেতনতার কারণে নর্দমায় জমে থাকা ময়লা পানির সঙ্গে মিশে দুর্গন্ধ সৃষ্টি করেছে। শহরের নাজির পাড়া, মাদ্রাসা রোড, পালপাড়া, নিউ ট্রাক রোড, রহমতপুর আবাসিক এলাকায় টানা বৃষ্টির কারণে সড়কে পানি জমে আছে।
লক্ষ্মীপুরেও জলাবদ্ধতার খবরও এসেছে। পৌরসভার জেবি রোড, বাঞ্চানগর, সমসেরাবাদ, কলেজ রোড ও মিয়া বাড়ি সড়কসহ বিভিন্ন এলাকায় হাঁটুপানি জমে থাকায় জনদুর্ভোগ চরমে উঠেছে।