হয়রানির অভিযোগে যশোরের পুলিশকর্তাদের অপসারণের দাবি জনপ্রতিনিধিদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৪, ০২:৩৩ পিএম

হয়রানির অভিযোগে যশোরের পুলিশকর্তাদের অপসারণের দাবি জনপ্রতিনিধিদের

যশোর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন জনপ্রতিনিধিরা।

যশোরের পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ার্দ্দার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হুসাইনের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ এনে তাদের অপসারণের দাবি জানিয়েছেন যশোর পৌরসভা, সদর উপজেলা পরিষদ ও বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা।

বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) যশোর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে জনপ্রতিনিধিদের পক্ষে বক্তব্য তুলে ধরেন যশোর পৌরসভার ১ নম্বর প্যানেল মেয়র শেখ মোকছিমুল বারী অপু।

সংবাদ সম্মেলনে জনপ্রতিনিধিরা বলেন, যশোরের পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ার্দ্দার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হুসাইন নানাভাবে হয়রানির মাধ্যমে সম্মানহানি করছেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার পরিবর্তে রাজনৈতিক গ্রুপিংয়ে জড়িয়ে পড়েছেন তারা।

গত কয়েকদিন ধরে পুলিশ বেশ কয়েকজন জনপ্রতিনিধির অফিস ভাঙচুর করেছে বলে অভিযোগ করেন তারা। এছাড়াও সুনির্দিষ্ট কোনো মামলা না থাকলেও যশোর পৌরসভার কাউন্সিলর শেখ জাহিদ হোসেন মিলনকে আটক করে অমানুষিক নির্যাতন করা হয়েছে। অপতৎপরতার মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধী ও সন্ত্রাসীদের আড়াল করা হচ্ছে বলেও দাবি করেন জনপ্রতিনিধিরা।

জনপ্রতিনিধিরা বলেন, যশোরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। চুরি, মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি বৃদ্ধি পেয়েছে। খুনের ঘটনাও ঘটছে। সিসিটিভি ফুটেজ থাকা সত্ত্বেও আসামিদের আটক না করে অন্যদের হয়রানি করা হচ্ছে।

যুবলীগের বর্ধিত সভার দিন সন্ত্রাসীদের সংঘর্ষ ও হামলাসহ অনেক ঘটনায় মামলাই নেওয়া হয়নি বলে জানান জনপ্রতিনিধিরা। তারা বলেন, ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন থানায় গেলে ‘এসপির নির্দেশ আছে মামলা নেওয়া যাবে না’ বলে তাদের থানা থেকে বের করে দেওয়া হয়।

যশোরের মানুষের জানমালের নিরাপত্তার জন্য পুলিশ সুপার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের অপসারণ দাবি করে কর্মবিরতির ঘোষণা দেন জনপ্রতিনিধিরা। ১৬ ফেব্রুয়ারি একই দাবিতে মানববন্ধন, ১৭ ফেব্রুয়ারি বিক্ষোভ মিছিল ১৮ ফেব্রুয়ারি বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষণা দেন তারা। এরপরও অপসারণের দাবি মানা না হলে হরতাল-অবরোধের কর্মসূচি গ্রহণ করবেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান জনপ্রতিনিধিরা।

Link copied!