হবিগঞ্জে বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচিতে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার বিকেলে থেমে থেমে এ সংঘর্ষ প্রায় দুই ঘণ্টা চলতে থাকে। এতে বিএনপির কয়েক শ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয় নেতাদের দাবি, সংঘর্ষে হবিগঞ্জ পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এসএম আউয়াল, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শাহ রাজিব আহমেদ রিংগন, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মাহবুবসহ বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মী আহত হন।
পুলিশ বলছে, বিএনপির নেতাকর্মীদের ইটপাটকেলে সদর থানার ওসি অজয় চন্দ্র দেবসহ তাদের বেশ কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, দলীয় চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ বিকেল চারটায় হবিগঞ্জ জেলা বিএনপি পদযাত্রা কর্মসূচির আয়োজন করে। এর আগে বিএনপির নেতা-কর্মীরা শহরের শায়েস্তানগর এলাকায় অবস্থিত বিএনপির জেলা কার্যালয়ে জড়ো হতে থাকেন। বিকেল পাঁচটার দিকে সমাবেশস্থল থেকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সমবায়বিষয়ক সম্পাদক ও হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জি কে গউছের নেতৃত্বে নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে শহরের প্রধান সড়কে আসা মাত্রই হবিগঞ্জ সদর থানার একদল পুলিশ বাধা দেয়। এ নিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয়। পুলিশ লাঠিপেটা শুরু করলে বিএনপির নেতা-কর্মীরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। একসময় উভয় পক্ষ মারমুখী হয়ে উঠলে পুলিশ বিএনপির নেতা-কর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে।
হবিগঞ্জ সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আফজাল হোসেনের দাবি, পুলিশের গুলিতে তাদের শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এর মধ্যে পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস এম আব্দুল আউয়াল, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শাহ রাজিব আহমেদ রিংগন, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক মুর্শেদ আহমেদ সাজন এবং মিজান শাহের অবস্থা গুরুতর।
হবিগঞ্জ সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আফজাল হোসেনের দাবি, পুলিশের গুলিতে তাদের শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এর মধ্যে পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস এম আব্দুল আউয়াল, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শাহ রাজিব আহমেদ রিংগন, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক মুর্শেদ আহমেদ সাজন এবং মিজান শাহের অবস্থা গুরুতর।
বিএনপির ১০-১৫ জন নেতাকর্মীকে পুলিশ আটক করার দাবিও করেন আফজাল হোসেন।