নভেম্বর ১, ২০২৩, ০৭:৫০ এএম
আগামী ৪ নভেম্বর রাজনৈতিক দলগুলোর নেতৃবৃন্দদের নিয়ে সংলাপ করার কথা। তবে কারাবন্দী ও পলাতক অবস্থায় থাকা বিএনপি নেতৃবৃন্দ কিভাবে প্রতিনিধি পাঠাবে এমন প্রশ্নে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি নির্বাচন কমিশন সচিব জাহাঙ্গীর আলম।
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু সফলভাবে সম্পন্ন করতে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে বৈঠকে বসছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এতে ভোটে কার কী দায়িত্ব, তা নির্ধারণ করা হবে।
বুধবার (১ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে বৈঠকটি শুরু হয়। বৈঠক শেষে গণমাধ্যমের সাথে বিস্তারিত বলেন ইসি সচিব।
আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার বেশ কিছু আলোচ্যসূচি ঠিক করেছে ইসি। আলোচ্যসূচির মধ্যে রয়েছে-
১. ভোটকেন্দ্রের স্থাপনা মেরামত ও ভৌত অবকাঠামো সংস্কার।
২. পার্বত্য/দুর্গম এলাকায় হেলিকপ্টারে নির্বাচনী মালামাল পরিবহন এবং ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের ভোটকেন্দ্রে আনা-নেওয়ার বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া।
৩. প্রচারমাধ্যমে নির্বাচনী প্রচার, উদ্বুদ্ধকরণ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া।
৪. দেশি/বিদেশি পর্যবেক্ষক নিয়োগে সহায়তা দেওয়া।
৫. পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার বিষয়ে সহযোগিতা।
৬. নির্বাচনে শান্তি-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে পরিকল্পনা নেওয়া।
৭. ঋণখেলাপি সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ, সংকলন ও প্রদানবিষয়ক কর্মপরিকল্পনা প্রস্তুত করা।
৮. নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালন এবং মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় শোডাউন নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার লক্ষ্যে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ।
১০.বার্ষিক ও পাবলিক পরীক্ষার সময়সূচি পর্যালোচনা।
১১. দৈনন্দিন আবহাওয়ার পূর্বাভাস সংক্রান্ত তথ্য পর্যালোচনা।
১২. নির্বাচনী এলাকায় বিদ্যমান নির্বাচনী প্রচারসামগ্রী অপসারণের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশনা দেওয়া।
সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোর নির্বাহী পরিচালক বা উপযুক্ত কর্মকর্তা, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রতিনিধি ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের (সমন্বয় ও সংস্কার) সচিবকে নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।