অক্টোবর ৩১, ২০২৩, ১২:৫০ পিএম
সারাদেশে বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর টানা তিন দিনের সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচির প্রথম দিন আজ। সকাল থেকে অবরোধ শুরু হয় সড়ক, নৌ ও রেলপথে। তবে সারাদিন রাজধানীতে যান চলাচল দেখা গেছে। তবে সপ্তাহের অন্য কর্মদিবসের মতো যানজট চোখে পড়েনি। দূরপাল্লার বাসগুলো আজ চলেনি। রেলপথও ছিল স্বাভাবিক।
সকালে নারায়ণগঞ্জ এলাকায় অবরোধে সংঘর্ষ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এরপর মিরপুরেও দুপুরের দিকে অগ্নিসংযোগ করা হয়। বিকেল হতেই রাজধানীর প্রেসক্লাব-পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এলাকায় বাসে অগ্নিসংযোগের সংবাদ পাওয়া যায়।
তিনদিনের এই অবরোধ কর্মসূচিকে ঘিরে প্রায় সব রাজনৈতিক দলই মাঠে সক্রিয় ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়ার চেষ্টা করছে। রাজধানীর একেক পয়েন্টে মিছিল অবস্থান কর্মসূচি করতে দেখা যায়।
সকালে রাজধানীর সাইনবোর্ড, শনির আখড়া, সায়দাবাদ, পল্টন, শাহবাগ এলাকাতে যানবাহন স্বাভাবিকভাবেই চলাচল করতে দেখা গেছে।
গ্রিন রোড, তেজগাঁও, বিজয় সরণী, ফার্মগেট, নাবিস্কো, পান্থপথ, কলাবাগান, কারওয়ান বাজার, খিলক্ষেত, মিরপুর, শেওড়াপাড়া, খেজুরবাগান এলাকায় রাস্তায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও রিকশা বেশি দেখা গেছে। তবে ব্যক্তিগত গাড়ি তেমন একটা দেখা যায়নি।
অগ্নিসংযোগের ঘটনার কারণে স্বাভাবিকের চেয়ে সব যানবাহনই কম ছিল। কেননা সোমবার রাত থেকে বেশ কয়েকটি অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছিল।
তবে যেকোনো অস্থিতিশীল পরিস্থিতি এড়াতে বিভিন্ন সড়কে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে টহল দিতে দেখা গেছে।
অন্যদিকে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিল স্বাভাবিক। গন্তব্যে যেতে অনেকেই সকাল থেকে ভিড় করছিলেন রেলস্টেশনে।
তবে যেসব দূরপাল্লার বাসসার্ভিস সেগুলো প্রায় সবদিকেই বন্ধ ছিল। মহাখালী, সায়দাবাদ, টেকনিক্যাল মোড়, মাজার রোড ও গাবতলী বাস টার্মিনালের বিভিন্ন মোড় ও কাউন্টারের দূরপাল্লার বাস টার্মিনাল বেশিরভাগই বন্ধ। যাত্রী না থাকায় যেগুলো খোলা সেগুলোও যেতে পারেনি।
অন্যদিকে নৌপথেও অবরোধের প্রভাব তেমন একটা পড়েনি। সন্ধ্যা বাড়তেই অনেকে উঠে পড়েছেন নিজ গন্তব্যের নৌযানটিতে।
বিএনপির পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীও তিন দিন অবরোধ কর্মসূচি দিয়েছে। সরকার পতনের যুগপৎ আন্দোলনে থাকা গণতন্ত্র মঞ্চসহ অন্য দল ও জোটগুলো বিএনপির অবরোধ কর্মসূচিতে সমর্থন দিয়েছে।