কুড়িগ্রামে তিস্তা, দুধকুমার, ব্রহ্মপুত্র ও ধরলা নদীসহ ১৬টি নদনদী এবং গাইবান্ধার ব্রহ্মপুত্র, ঘাঘট ও করতোয়া নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে ও তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে বন্যায় শিশুসহ প্রাণ হারালেন সাতজন
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সন্ধ্যায় ২৪ ঘণ্টার হিসাবে কুড়িগ্রামে ধরলা নদীর পানি তালুক শিমুলবাড়ি পয়েন্টে বিপৎসীমার ২৬ সেন্টিমিটার ও তিস্তা নদীর পানি কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে। অন্যদিকে গাইবান্ধায় তিস্তা নদীর পানি ৪১ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে।
বন্যার আশঙ্কা গাইবান্ধায়
বন্যার আশঙ্কা প্রকাশ করে গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক বলেন, “উজানের ঢলে ও ভারী বৃষ্টির কারণে নদীর পানি বাড়ছে। এ কারণে নদী তীরবর্তী চরাঞ্চলে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। এই পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে স্বল্পমেয়াদি বন্যা হতে পারে।”
গাইবান্ধা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদ আল হাসান বলেন, “জেলা ও উপজেলায় দুর্যোগকালীন সভা করে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রাথমিক সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান, সদরে নদীবেষ্টিত যে চারটি ইউনিয়ন রয়েছে, সেসব ইউনিয়নের নদীর তীরবর্তী গ্রামগুলোতে সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া এসব এলাকায় শুকনা খাবার বিতরণের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।”
পানি বাড়ছে কুড়িগ্রামে
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, “ধরলা ও তিস্তা নদীর দুটি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমা পার করেছে। ফলে রাজারহাট, নাগেশ্বরী ও কুড়িগ্রাম সদরের নিচু এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। উপজেলা পর্যায়ে ১৪৪ টন চাল ও নগদ ১০ লাখ ৩৫ হাজার টাকা ত্রাণ হিসাবে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ৪০৪টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। সেখানে দুর্গতরা আশ্রয় নেওয়া শুরু করেছেন।”
কুড়িগ্রাম-২ আসনের এমপি ডা. হামিদুল হক খন্দকার বলেন, “পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এবং সড়ক ডুবে যাওয়ায় নদী ভাঙন ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। বন্যায় কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। তাদের সহায়তার জন্য প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”