হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের প্রয়াণবার্ষিকী আজ। ২০১৯ সালের এদিন সিএমএইচ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। ১৯৮২ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত তার শাসনামলে স্মরণকালের বড় ছাত্র তথা গণআন্দোলন হয়েছিল। তার ব্যক্তিগত কুরুচিপূর্ণ জীবনযাপনের খবরাখবরে সহজেই ওই সময়ের জনসাধারণ তেঁতে ওঠে। নব্বইয়ের দশকে বিভিন্ন সংবাদপত্রে এরশাদের এসব কুরুচিপূর্ণ ব্যক্তিগত প্রেম ও বিয়ের খবর প্রকাশ হতেই জনসাধারণ ছি-ছ্যাপ্পড় করতে থাকে। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জীবনে প্রেম এসেছিল একাধিকবার। এসব প্রেম অনেকাংশই দেশে সৃষ্টি করেছে বিতর্ক। বিরোধী মহলেও এরশাদের ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবন নিয়ে নানা টানাহেঁচড়া হয়েছে। পটুয়া কামরুল হাসান যার ছবি এঁকে ‘বিশ্ব বেহায়া’ আখ্যায়িত করেছেন। অথচ ৫ বছর ধরে এরশাদের সেই বেহায়াপনা সহ্য করে গেছেন বিদিশা এরশাদ। বিদিশার প্রথম গ্রন্থ ‘শত্রুর সঙ্গে বসবাস’ আত্মজৈবনিক গ্রন্থ হিসেবে উৎসাহী পাঠকদের কাছে সমাদৃত। এতে ব্যক্তিগত সাংসারিক জীবন ও এরশাদের সঙ্গে বিয়ের নানা স্মৃতির কথা তুলে ধরেছেন।
হু মু এরশাদের ব্যক্তিগত জীবনকে কেন্দ্র করে বিতর্ক থাকলেও আগ্রহ আছে এমন মানুষের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবেও অনেকে এরশাদের এসব গল্পে আমোদিত হন। ৯০০ পৃষ্ঠা সংবলিত ‘আমার কর্ম আমার জীবন’ গ্রন্থে নিজের রাজনৈতিক জীবনের কথা তুলে ধরলেও হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এড়িয়ে গেছেন তার প্রেমের গুঞ্জন ও সাংসারিক বিতর্ক এবং সমস্যার কথা। সেই দায়িত্ব নিয়েছেন এরশাদের দ্বিতীয় স্ত্রী বিদিশা এরশাদ। লিখেছেন- ‘স্বৈরাচারের প্রেমপত্র’ বইটি। ২০০৯ সালে প্রকাশিত এই বইয়ে বিভিন্ন স্বৈরাচার এরশাদ বিদিশাকে যে প্রেমপত্র পাঠিয়েছেন, সেসবই বিবৃত হয়েছে। বাংলা ট্রিবিউনে বইটির রিভিউ দিতে গিয়ে সালমান তারেক শাকিল লিখেছেন: ২০০০ সালের ২০ নভেম্বর সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ গ্রেপ্তার হন। পরের বছর ৯ এপ্রিল কারাগার থেকে মুক্তিলাভ করেন তিনি। বিদিশার সঙ্গে জাতীয় পার্টি প্রধানের সম্পর্ক তখনই তুঙ্গে। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের থাকার সময় বিদিশা এরশাদের সঙ্গে নিয়মিত সাক্ষাৎ করতেন। কারাগারের পাশেই একটি বাড়ির ছাদে বসে এরশাদকে দেখা দিতেন তিনি। বিদিশার গ্রন্থের বিবরণ অনুযায়ী এর আগে বিএনপি শাসনামলে ৫ বছর কারাগারে থাকার সময় বাড়িটির ছাদে উঠেই জিনাত, নীলা চৌধুরীসহ একাধিক প্রেমিকা এরশাদের সঙ্গে দেখা করতেন (২ মার্চ ২০১৬)।
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ প্রথমে রওশন এরশাদ ও পরে বিদিশা এরশাদকে বিয়ে করেন। বহু জলঘোলা করার পর বিদিশার সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায় এরশাদের। এই সংসারে আছে তার একমাত্র সন্তান এরিক এরশাদ। এরিকের অটিজম সংক্রান্ত মানসিক ব্যাধি রয়েছে। বিদিশার সঙ্গে বিচ্ছেদ হলেও এরিককে নিজের কাছেই রেখেছিলেন এরশাদ। ‘এরিককে দেখার অজুহাতে’ এখন বিদিশাও নিজেকে এরশাদের স্ত্রী (আইনত ডিভোর্স হয়ে যাওয়ার পরেও) দাবি করতে থাকে। অন্যদিকে নব্বইয়ের দশকের প্রেসিডেন্ট এরশাদের প্রথম সংসারে রয়েছেন রওশন এরশাদ। তার একমাত্র ছেলে রাহগীর আলমাহী এরশাদ ওরফে সাদ এরশাদ ২০১৯ সালের ২৯ অক্টোবর জাতীয় পার্টির যুগ্ম মহাসচিব ও বর্তমানে রংপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি)।
বিদিশার লেখা ‘স্বৈরাচারের প্রেমপত্র’ থেকে জানা যায়, এরশাদ যখন কারাগারে অন্তরীণ ছিলেন তখন প্রায় প্রতিদিনই তার প্রেমিকা বিদিশাকে প্রেমপত্র লিখতেন। ইংরেজি ভাষায় লেখা প্রতিটি চিঠি সুতা দিয়ে পেঁচানো থাকত। এসব চিঠির বাহককে ৫০০ টাকা করে বিনিময় দিতে হতো বলেও গ্রন্থের ভূমিকায় লিখেছেন বিদিশা।
‘স্বৈরাচারের প্রেমপত্র’ বইটিতে বিদিশা এরশাদ লেখেন, এরশাদের প্রতিটি চিঠিই ছিল ইংরেজিতে। আর সেই ইংরেজি ছিল ভুলে ভরা।
বইটির অপরাংশে বিদিশা লেখেন, এসব প্রেমপত্রে এরশাদ তার তৎকালীন জাতীয় পার্টির রাজনৈতিক পরিস্থিতি, রাজনৈতিক অবস্থান, জেল-জরিমানা, তার স্ত্রী রওশন, বর্তমানে বিএনপির চেয়ারপারসন উপদেষ্টা খন্দকার মাহবুব হোসেন, মেজর খালিদসহ নানা প্রসঙ্গে লিখতেন। তবে বেশির ভাগ চিঠিতেই তার সম্পদের বিষয়ে ধারণা দেওয়া থাকত।
এ ছাড়া বহু আগেই হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের দ্বিতীয় স্ত্রী বিদিশা এরশাদ নিজের পারিবারিক জীবন নিয়ে লিখেছিলেন ‘শত্রুর সঙ্গে বসবাস’। এই বইয়ে বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে নিজের আবেগের কথা তুলে ধরেছেন বিদিশা। তিনি অনেকবার এই বইটিকে নিজের আত্মজীবনী বলে দাবি করেছেন। বাল্যকাল থেকে শুরু করে তারুণ্য ও যৌবনে লেখক বিদিশা তার দুই স্বামীর সঙ্গে সংসার করার বিচিত্র অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন। প্রকৃত অর্থে বিদিশা ছিলেন এরশাদের একজন প্রেমিকা। তাদের প্রথম দেখা হয়েছিল ১৯৯৮ সালের ১৪ জুলাই। দিনটা ছিল ফ্রান্সের জাতীয় দিবস। বাস্তুল দুর্গ পতনের দিন। ১৭৮৯ সালের ১৪ জুলাই বাস্তুল দুর্গ পতনের মধ্য দিয়ে ফরাসি স্বৈরাচারী রাজতন্ত্রের ভিত নড়বড়ে হয়ে যায়। বিধাতা ঠিক এই দিনেই বিদিশার সঙ্গে এরশাদের প্রথম সাক্ষাতের মুহূর্ত ঠিক করে রেখেছিলেন।
এর আগে ১৯৮৫ সালে নবম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত বিদিশার সঙ্গে পারিবারিকভাবে পিটার নামে এক বিদেশির বিয়ে হয়। কিন্তু তাদের মধ্যে স্বাভাবিক দাম্পত্য সম্পর্ক ছিল না। কখনও নিজের নারীত্বকে অস্বীকার, আবার কখনও বিদেশে প্রথম স্বামীর সঙ্গে ভ্রমণে গিয়ে ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করা। পিটারকে বিয়ে করে বিদিশা নিজেকে উচ্চ শিক্ষিত হিসেবে গড়ে তুলেছেন। এরপর দ্বিতীয়বার এরশাদের হাত ধরলেন। হুসেইন মুহম্মদের লাম্পট্য ও চরিত্রহীনতার নানা দিক থাকলেও এই সময় প্রেসিডেন্টের স্ত্রী হিসেবে নিজেকে ফার্স্ট লেডি হিসেবে প্রতিষ্ঠা প্রাপ্তিই ছিল বিদিশার লক্ষ্য। সচলায়তনের একটি ব্লগপোস্টে বিদিশার পরিবার সম্পর্কে লেখা হয়েছে: ‘কবি ও অধ্যাপক আবুবকর সিদ্দিকের সংসারে মায়ের কাছে অত্যাচারিত হওয়া কিংবা স্বামীর অবহেলার পাত্রী হওয়া পরিবারটির সামাজিকতার ধারণা ও শিক্ষা সম্পর্কে মানুষের মনে বিরূপ প্রভাব ফেলে। কালো ও অসুন্দর মেয়েকে বিয়ে দিয়ে কন্যা দায়গ্রস্তার হাত থেকে নিবৃত্তির মতো নিচু চিন্তা তদানীন্তন শিক্ষিত সমাজের মানুষের নিচু মানসিকতাই প্রকাশ করে। বিদিশা ছেলে হলে হয়তো এই দুশ্চিন্তা অধ্যাপকের ঘুম কেড়ে নিতো না। বিয়ের পর বিদেশে টয়লেট (প্রক্ষালন কক্ষ) পরিষ্কারের মাধ্যমে অর্থোপার্জন করে বিদিশাই তার পরিবারের দায়িত্ব বহন করেন।’
১৯৮২ সালের ২৪ নভেম্বর এক অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ক্ষমতা গ্রহণ করেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। প্রেসিডেন্ট পদে আসীন হওয়ার পর পরই তার প্রেম নিয়ে সব মহলে কানাঘুঁষা শুরু হয়ে যায়। তার কুরুচিপূর্ণ জীবনযাপন এতটাই লাগামছাড়া হয়ে উঠেছিল যে সাধারণ মানুষ দ্রুতই তার প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে ওঠে। ব্যক্তিগত পর্যায়ে অশালীন জীবনযাপন এবং অশান্ত পারিবারিক দোলাচল- তার বিরুদ্ধে গণআন্দোলনকে খানিকটা উসকে দেয়। এরশাদশাহী যখন ক্ষমতার মসনদে বসেন, তখন চারদিক থেকে প্রেমের স্ক্যান্ডাল ছড়াতে থাকে। একবার তো মেরি নামে একজন নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক থাকার গুঞ্জন রটেছিল। রটনা হয়েছিল, তিনি নাকি মেরি নামে একজন নারীর সঙ্গে বিবাহিত জীবন কাটাচ্ছেন। কিন্তু তা ছিল নিরেট অসত্য।
ক্ষমতায় থাকাকালীন কিংবা ক্ষমতার বৃত্ত থেকে বেরিয়ে অনেক নারীর সঙ্গেই মেলামেশার কথা রটেছে এরশাদের বিরুদ্ধে। সেগুলোর কতকগুলো নিয়ে সংবাদপত্রেও সমালোচনা হয়েছে। এখনও অনেক ব্লগার এরশাদের ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবন নিয়ে হাস্যপরিহাসমূলক সমালোচনা করে থাকেন। আবার অনেকে বিষয়টিকে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখে সিরিয়াস ভঙ্গিমায় আলোচনা করেন।
এরশাদের অন্যতম বান্ধবীর নাম জিন্নাত মোশাররফ। শোনা যায়, এরশাদের প্রেমে তিনি এতটাই হাবুডুবু খেয়েছিলেন যে নিজের নামের শেষে স্বামীর নাম বাদ দিয়ে এরশাদের নামের আদ্যক্ষর ‘হোসাইন’ গ্রহণ করেছিলেন। নব্বইয়ের দশকে এরশাদ ক্ষমতায় থাকাকালে জিন্নাতের সঙ্গে একাধিকবার রাত কাটানোর গুঞ্জন রটেছিল। জিন্নাত মোশাররফের স্বামী এ কে এম মোশাররফ হোসেনকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব পদে অধিষ্ঠান করেছিলেন এরশাদ। মোশাররফ ও জিন্নাতের সংসারে দুই ছেলে রয়েছে। মোশাররফ পরবর্তীতে বিএনপির রাজনীতিতে প্রবৃত্ত হন এবং জোট সরকারের শাসনামলে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হন। ২০২০ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
এভাবে আরও বহুজনের সঙ্গে এরশাদের প্রেমের গুঞ্জন রটেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত বিদিশা এরশাদের সঙ্গে প্রেম। অসম বয়সের এই প্রেম দেশব্যাপী আলোড়ন তুলেছিল।
বিদিশা তার ‘শত্রুর সঙ্গে বসবাস’ বইয়ে এরশাদের সঙ্গে সংসারের স্মৃতি খুব ভালোভাবেই তুলে ধরেছেন। বিশেষ করে এরশাদের যৌন ক্ষমতার প্রতিও বিদিশা করেছিলেন চমকপ্রদ মন্তব্য। তার সেই মন্তব্যই প্রমাণ করে, এরশাদের প্রতি তার কতখানি ভালোবাসা ছিল।
সচলায়তন ব্লগে বলা হয়েছে: আবেগ ও প্রেসিডেন্টের স্ত্রী হওয়ার মনোবাঞ্ছা থেকে এরশাদের ঘনিষ্ঠ হয়েছিলেন বিদিশা। পরবর্তীতে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থতি তার জীবনকে পাল্টে দেয়।
দৈনিক আমাদের নতুন সময় পত্রিকার সাংবাদিক দেবদুলাল মুন্নাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, তারেক রহমান ও বিএনপিই এরশাদের সঙ্গে তার বিচ্ছেদের প্রকৃত কারণ। কারণ বিদিশার বাবা কবি ও অধ্যাপক আবুবকর সিদ্দিকের সঙ্গে আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মীর ওঠাবসা ছিল। এটাকে পুঁজি করেই বিএনপির অতিউৎসাহী নেতাকর্মীরা এরশাদের কানভারী করতে থাকেন এবং ২০০৫ সালে আদালতে নিজের বাসা থেকে মোবাইল ফোন চুরির মিথ্যা মামলা দায়েরে বাধ্য করেন। বিএনপির হাই-কমান্ড ওই সময় ভেবেছিল, বিদিশা হয়তো আওয়ামী লীগের সঙ্গে এরশাদের লিয়াজোঁ করতে চাইছেন। আর এই ভয়েই তদানীন্তন ক্ষমতাসীন বিএনপি সরকার এরশাদকে দিয়ে বিদিশার বিরুদ্ধে মামলা করান এবং তার সঙ্গে ডিভোর্স হয়ে যায়। বিদিশা ও হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সাংসারিক জীবন নিয়ে এদেশে একটি শ্রেণির আগ্রহের কমতি নেই। বিষয়টি নিয়ে এখনও চর্চা হয়। বিশেষ করে ২০০৫ সালে বিদিশার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার পর সারা দেশে আলোড়ন ওঠে। চায়ের কাপে উঠেছিল আলোচনার ঝড়।
আর যা-ই হোক, ‘ডিগবাজি’ খেতে ভালোবাসতেন এরশাদ। তার প্রেমজীবনও নানা প্রকার ‘ডিগবাজি’তে পরিপূর্ণ। বহু নারীর সঙ্গে তার প্রণয়ের গুঞ্জন রটেছে। অনৈতিক সম্পর্ক, সংসার ভাঙা কিংবা বিয়ের গুঞ্জনেও এরশাদ সংবাদপত্রের শিরোনাম হয়েছেন অসংখ্যবার। ব্যক্তিগত জীবনে তার নামে রটে যাওয়া প্রেমের গুঞ্জন নিয়ে একটা অভিসন্দর্ভ (থিসিস) লেখা হয়ে যেতে পারে। এরশাদকে অনেকে ‘কমেডিয়ান’, ‘ডিগবাজি খেতে সিদ্ধহস্ত’ জানলেও তার বিরুদ্ধে অনেকেই ‘লাম্পট্যে’র অভিযোগও তোলেন। সবচেয়ে বড় কথা, তার নামে যেসব প্রেমের গুঞ্জন রটেছে, তার সবটাই যে সত্য হতে পারে তা নয়। অসত্যের মিশ্রণও থাকতে পারে। পরিশেষে বলা যায়, রাজনৈতিক জীবনে বিতর্ক যেমন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সঙ্গী ছিল, ব্যক্তিগত জীবনে সেটা আরও প্রকট হয়ে উঠেছে। যা তার প্রতিষ্ঠা করা দল জাতীয় পার্টির ভবিষ্যতকে ভুলূণ্ঠিত করে তুলছে।
২০১৯ সালের ১৪ জুলাই সকালে সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার মৃত্যুর পর বিদিশা তার ফেসবুক পেজে সাবেক স্বামী ও প্রেমিকপ্রবর এরশাদকে নিয়ে শেষবারের মতো একটি স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন।
ফেসবুকে এরশাদকে নিয়ে শেষবারের মতো বিদিশার পোস্ট
এ জন্মে আর দেখা হলো না। আমিও আজমীর শরীফ আসলাম আর তুমি ও চলে গেলে। এতো কষ্ট পাওয়ার থেকে মনে হয় এই ভালো ছিল। আবার দেখা হবে হয়তো অন্য এক দুনিয়াতে যেখানে থাকবে না কোনও রাজনীতি