জুলাই অভ্যুত্থানে নিহতের পরিবারকে পুলিশি হয়রানি বন্ধে বিশেষ সেল

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

ডিসেম্বর ৩০, ২০২৪, ০৬:১৯ পিএম

জুলাই অভ্যুত্থানে নিহতের পরিবারকে পুলিশি হয়রানি বন্ধে বিশেষ সেল

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই অভ্যুত্থানে শহিদ পরিবারের সদস্যদের পুলিশি হয়রানি বন্ধে বিশেষ সেল গঠন করছে আইন মন্ত্রণালয়। ৭ দিনের মধ্যে এই সেল কাজ শুরু করবে বলে নিশ্চিত করেছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।

সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর সকালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নগরভবনে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে শহিদ পরিবারকে সহায়তা অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দেন তিনি।  

সকালে জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে দেওয়া আর্থিক সহায়তা গ্রহণ করতে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নগর ভবনে আসেন শহিদ পরিবারের সদস্যরা। অনুষ্ঠানের শুরুতেই পুলিশি ও আইনি হয়রানির অভিযোগ করেন তারা। ক্ষোভ জানান অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর।

গণহত্যাকারীদের বিচার করা সরকারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ বলে মন্তব্য করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। তারা জানান, বিচার না হলে সরকার ও ছাত্ররা ব্যর্থ হবে।

জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেন, ‘এটা এই অন্তর্বর্তী সরকারের সবচেয়ে বড় দায়বদ্ধতা। এই একটা জায়গায় যদি আমরা সফল না হই, দৃশ্যমান বিচার আমরা না দেখতে পাই বাংলাদেশের ইতিহাসে এই চব্বিশের অভ্যুত্থানে সবচেয়ে বড় সীমাবদ্ধতা হয়ে থাকবে এটিই। এবং এর দায় আমরা কেউ কোনোদিন উপেক্ষা করতে পারব না।’

জুলাই গণহত্যার বিচারে সরকার সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে উল্লেখ করে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচারের ওপর জোর দেন অন্তর্বর্তী সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টা।

এ সময় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, ‘হত্যাকারী খুনি হাসিনা এবং তার পুলিশ বাহিনী এবং যারা এটার সাথে জড়িত ছিল প্রত্যেকের বিচার করা। এই বিচার হতেই হবে এই বাংলাদেশের মাটিতে।’

পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘উপায় হবে বিচার। আর আরেকটা বড় উপায় হবে এই দেশটাকে যদি সত্যিকার অর্থে যে জন্য আপনাদের পরিবারের সদস্যরা প্রাণ দিয়েছেন সে লক্ষ্যে নিয়ে যাওয়ার অন্তত যাত্রাটুকু আমরা শুরু করতে পারি।’

অন্যদিকে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল জানান, ফায়দা হাসিলের জন্য একটি পক্ষ যাকে-তাকে আসামি করে মামলা করছে। ফলে, বিচার প্রক্রিয়া বিতর্কিত হচ্ছে।

আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘বিচারের প্রত্যাশা এটা নিয়ে ব্যবসা শুরু হয়েছে আমাদের সমাজে। এদেরকে আমরা চিহ্নিত করব। অবশ্যই তাদেরকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। প্রথমে আমাদের সুক্ষ্মভাবে মামলা করতে হবে। আমাদের আইন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে লিগাল এইড সেল গঠন করে দেবো। আমি কথা দিচ্ছি, আগামী ৭দিনের মধ্যে এটা করে দেব।’

পরে ৭৭ জন শহিদ পরিবারকে আর্থিক সহায়তার চেক তুলে দেন উপদেষ্টারা।

Link copied!