মে ১০, ২০২৪, ০৯:৫৩ এএম
স্কোয়াড্রন লিডার মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদের ফিউনারেল প্যারেড এবং দ্বিতীয় নামাজে জানাজা শুক্রবার (১০ মে) ঢাকা সেনানিবাসস্থ বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটি বাশারের প্যারেড গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। সেনাবাহিনী প্রধানের পক্ষ থেকে চিফ অব জেনারেল স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, ওএসপি, এসজিপি, পিএসসি ও বিমান বাহিনী প্রধানের পক্ষ থেকে সহকারী বিমান বাহিনী প্রধান (পরিচালন) এয়ার ভাইস মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন, বিবিপি, ওএসপি, জিইউপি, এনএসডব্লিউসি, পিএসসি এবং নৌবাহিনী প্রধানের পক্ষ থেকে ঢাকা নৌ অঞ্চলের আঞ্চলিক কমান্ডার রিয়ার এডমিরাল মাসুদ ইকবাল এনপিপি, এনডিসি, পিএসসি মরহুমের কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে তার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে স্কোয়াড্রন লিডার আসিম জাওয়াদের পরিবারের সদস্যগণ, সামরিক বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এবং অন্যান্য পদবীর সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ফিউনারেল প্যারেড শেষে আসিম জাওয়াদকে মানিকগঞ্জ সদর কবরস্থানে বাদ জুমা তৃতীয় নামাজে জানাজা শেষে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রামের বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটি জহুরুল হক প্যারেড গ্রাউন্ডে মরহুমের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি ইয়াক-১৩০ প্রশিক্ষণ বিমান প্রশিক্ষণ চলাকালীন সময়ে অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (০৯ মে) সকাল ১০ টা ২৫ মিনিটে চট্টগ্রামের বিমান ঘাঁটি জহুরুল হক থেকে উড্ডয়নের পর কর্ণফুলী নদীর মোহনার কাছে দুর্ঘটনায় পতিত হলে বৈমানিক স্কোয়াড্রন লীডার মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদ, প্যারাসুট দিয়ে নদীতে জরুরি অবতরণ করেন। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় দ্রুত চিকিৎসার জন্য নৌবাহিনীর হাসপাতাল পতেঙ্গায় নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
স্কোয়াড্রন লীডার মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদ ১৯৯২ সালের ২০ মার্চ মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া উপজেলার গোপালপুর গ্রামের জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম ডা. মো. আমান উল্লাহ এবং মাতার নাম নীলুফা আক্তার খানম। এছাড়া সংসার জীবনে তার স্ত্রী ও দুই সন্তান রয়েছে।
তিনি ২০০৭ সালে সাভার ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল থেকে এসএসসি, ২০০৯ সালে সাভার ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজ থেকে এইচএসসি এবং ২০১২ সালে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস্ থেকে বিএসসি (এ্যারো) পাশ করেন।
আসিম জাওয়াদ ২০১০ সালের ১০ জানুয়ারি বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে যোগদান করেন এবং ২০১১ সালের ১ ডিসেম্বর ক্যাডেটদের জন্য সর্বোচ্চ সম্মান সোর্ড অব অনার প্রাপ্তিসহ জিডি (পি) শাখায় কমিশন লাভ করেন। তিনি পেশাদারী দক্ষতা ও সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘মফিজ ট্রফি’, ‘বিমান বাহিনী প্রধান ট্রফি’ ও বিমান বাহিনী প্রধানের প্রশংসাপত্র লাভ করেন। এছাড়াও ভারতীয় বিমান বাহিনী কোর্সে অংশগ্রহণ করে সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘চিফ অফ এয়ার স্টাফস ট্রফি ফর বেস্ট ইন ফ্লায়িং (ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্স)’অর্জন করেন।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৩২ বছর একমাস ২০ দিন। এছাড়া ১২ বছর পাঁচ মাস নয় দিন তিনি বিমান বাহিনীতে কর্মরত ছিলেন।