এপ্রিল ৩০, ২০২৪, ০১:৫৫ পিএম
“দেশ সবার আগে। সরকারি কর্মকর্তাদের মূল দায়িত্ব হলো দেশের স্বার্থ সংরক্ষণ করা। তবে গণতান্ত্রিক একটি রাষ্ট্র কাঠামোতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দল ভিন্ন ভিন্ন রাজনৈতিক দর্শন নিয়ে সরকার গঠন করে। সেই দলের যে ভিশন বা ইশতেহার থাকবে সেটা বাস্তবায়নের একটা দায়বদ্ধতা অবশ্যই থাকতে হবে। তবে আইন-কানুন, বিধি ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করা সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।”
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিকেলে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ৪১তম বিসিএস (তথ্য) ক্যাডারে নবযোগদানকৃত কর্মকর্তাদের পরিচিতি অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, “যে চিন্তা-চেতনা এবং আদর্শকে সামনে রেখে বাংলাদেশের জন্ম, তার প্রতি আমাদের সবার আনুগত্য থাকা বাঞ্ছনীয়। একটা দেশ তার সংজ্ঞা তৈরি করে, সে কী রকম দেশ হবে। বাংলাদেশের সংজ্ঞা তৈরি হয়ে গেছে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে। স্বাধীন এই দেশে ৩০ লাখ শহীদ ও দুই লাখ নির্যাতিতা মা-বোনের সম্ভ্রমের ওপর দাঁড়িয়ে যে সংজ্ঞা নির্ধারণ হয়েছে, সেই সংজ্ঞার ওপর আমাদের অটল থাকতে হবে। এই মূল জায়গায় অর্থাৎ বাংলাদেশ প্রশ্নে, বাংলাদেশের জন্মের প্রশ্নে কোনো আপোষ করা যাবে না। দলীয় রাজনীতির উর্ধ্বে একে চিন্তা করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “সরকারের যেকোনো পর্যায়ে স্বজনপ্রীতির উর্ধ্বে উঠে পেশাদারিত্বের সঙ্গে, ন্যায্যতার সঙ্গে সিদ্ধান্ত নেওয়া জরুরি। একই সঙ্গে দেশের স্বার্থে আপোষহীন দৃষ্টিভঙ্গি থাকা দরকার। নতুন যোগদান করা কর্মকর্তাদের এসব বিষয় অনুশীলনের মাধ্যম শিখতে হবে।”
মোহাম্মদ আরাফাত বলেন, “যেকোনো প্রতিষ্ঠানে শৃঙ্খলা খুবই জরুরি। নবীন কর্মকর্তাদের প্রাতিষ্ঠানিক শৃঙ্খলা ও পদক্রমিক শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে।”
প্রশাসনিক কাজের মধ্যে দলীয় দৃষ্টিভঙ্গি থাকা যাবে না। কিন্তু সরকারের ভিশন বাস্তবায়নে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকারও পাঠ দিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।
পরিচিতি অনুষ্ঠান শেষে ৪১তম বিসিএস (তথ্য) ক্যাডারে নবযোগদানকৃত ৪০ জন কর্মকর্তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান তথ্য প্রতিমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. কাউসার আহাম্মদ, মো. মজিবুর রহমান ও তন্ময় দাস, জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের অতিরিক্ত মহাপরিচালক সুফী জাকির হোসেন, পরিচালক মো. নজরুল ইসলামসহ আরও অনেকে।