সরকার পতনের একদফা দাবি, মহাসমাবেশে হামলা ও বিএনপি মহাসচিবকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে সারা দেশে ৭২ ঘণ্টার অবরোধ ডেকেছে বিরোধী জোট। এই অবরোধ শুরুর আগে রাতে যেন নগরীর বুকে দেখা গেল ঘরে ফেরার দ্বিগুণ ব্যস্ততা। রাত ১২টার কাছাকাছি সময়েও মহাসড়কে দেখা গেছে যানজট।
২৮ অক্টোবর সংঘর্ষময় মহাসমাবেশের দিন এবং পরদিনই হরতালের পর একদিন ‘সাধারণ’ দিন পেয়ে সকাল থেকে ব্যস্ত হয়ে পড়ে নগরী।
সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় যানজট দেখা গেছে। সন্ধ্যা থেকেই মগবাজার থেকে মহাখালীর দিকে সড়কে দেখা গেছে ঘণ্টাব্যাপী যানজট। সড়কপথ থেকে শুরু করে ফ্লাইওভারগুলোতেও তীব্র যানজট লক্ষ্য করা গেছে।
রাত বাড়তেই বাড়ি ফিরতে ব্যস্ত হয়ে যায় নাগরিক জনগণ। অন্যদিকে রাত ৮টার দিকে গাজীপুরে বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এতে রাজপথে কমে যায় বাসের সংখ্যা। যাত্রীর তুলনায় বাস কমে যাওয়ায় বাসগুলোতে মানুষের হুড়োহুড়ি দেখা যায়।
রাজধানীর বাংলামোটরে দেখা যায়, মানুষ অপেক্ষায় থাকলেও নেই গণপরিবহন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষারত অনেকে। আবার বাস আসলেও তাতে গেটপর্যন্ত ঝুলছে মানুষ। এ অবস্থায় বাসে ওঠার প্রতিযোগিতায় ব্যর্থ হয়ে অনেকেই আবার পায়ে হেঁটেও রওনা করেছেন গন্তব্যস্থলে।
টানা তিন দিনের অবরোধে যান চলাচল কেমন থাকবে এ নিয়ে চিন্তায় নগরবাসী। কেন না অবরোধ থাকলেও কর্মক্ষেত্রে মিলছে না কোনো ছুটি। অবরোধের মধ্যেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হলেও গণপরিবহন ব্যবহার করে অফিসে যেতে হবে।
এ অবস্থায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ জানান, বিএনপির ডাকা ৩ দিনের অবরোধে কোনো প্রকার পরিবহন বন্ধ থাকবে না। এ বিষয়ে তারা শ্রমিক-মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ জন্য মালিক সমিতি পুলিশের সহযোগিতাও চেয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশ-বিএনপির সংঘর্ষের পর ২৯ অক্টোবর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে আটক করা হয়। এরপর থেকে এক প্রকার আত্মগোপনে চলে যায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ সিনিয়র নেতারা।
বিএনপি-জামায়াতের দেয়া তিন দিনের দেশব্যাপী অবরোধ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ সুরক্ষায় রাতেই মাঠে নেমেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।