জুলাই ২৫, ২০২৪, ০২:৪২ পিএম
নৌ-প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “যারা বাংলাদেশকে পাকিস্তান, আফগানিস্তান, সিরিয়া, লিবিয়া বানাতে চায়, তারাই এই ধরনের হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। যেগুলো আমরা ‘৭১’এ মুক্তিযুদ্ধের সময় দেখেছি।”
তার মতে, ছাত্র আন্দোলন যখনই শান্তিপূর্ণ সমাধানের দিকে যাচ্ছিল ঠিক তখনই স্বার্থান্বেষী মহল তাদের উদ্দেশ্য হাসিলে ঢাকা শহরে অগ্নিসন্ত্রাস, তাণ্ডব, তাড়াহুড়ো করে বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর হামলা, মেট্রোরেল স্টেশন পুড়িয়ে দেওয়া, সেতু ভবন, (মহাখালীর) ডাটা সেন্টার প্রভৃতি পুড়িয়ে দিলো- তাদের উদ্দেশ্য ছিল সমগ্র বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) চট্টগ্রাম বন্দর পরিদর্শন ও প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী বন্দরের শ্রমিকদের খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
বন্দরের ৬ হাজার ৭০০ শ্রমিকেরকে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়। পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী চট্টগ্রামে স্থানীয় কর্মহীন ও দুস্থদের খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন তিনি।
কোটা বিরোধী আন্দোলনের ওপর ভর করে সহিংসতা চালনাকারীদের বিষয়ে নৌ-প্রতিমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশকে পরিত্যক্ত দেশ হিসেবে তৈরি করার মহাপরিকল্পনা ছিল। প্রধানমন্ত্রীর একটি সঠিক সিদ্ধান্তের কারণে তাদের সেই ষড়যন্ত্রের রাজনীতি প্রতিহত হয়েছে। তাদের স্বপ্ন বাংলাদেশকে ভিখারি রাষ্ট্রে পরিণত করা, দেশকে উন্নতি হতে না দেওয়া, বিদেশ থেকে উসকানি পেয়ে তারা হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। তাদের একমাত্র বাধা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাকে তারা উৎখাত করতে চায়, যা কখনওই সম্ভব নয়।
তিনি আরও বলেন, “মানব দরদী, দেশ দরদী শেখ হাসিনা সুস্থ থাকলে বাংলাদেশ সুস্থ থাকবে। তার একটি সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের মানুষকে সুস্থ করে দিয়েছে । আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেন সুস্থ থাকেন, তার নেতৃত্বে আমাদের এগিয়ে যেতে সাহস ও শক্তি দেন। ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের বাংলাদেশ। তাদের মুক্তিযোদ্ধাদের, নির্যাতিতদের দায়িত্ব পালন করা আমাদের দায়িত্ব। প্রধানমন্ত্রী দারিদ্রতা জয় করে মধ্যম আয়ের দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত করেছেন। এটা তাদের পছন্দ নয়।”
খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর মতে, দেশের নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির মধ্যে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সার্বভৌমত্বকে ধরে রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রী জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন। এই ঘোষণা মানুষকে আনন্দিত করেছে। কারফিউ জারির শুরুতে দেশের সার্বিক অবস্থা ফিরে আসতে শুরু করেছে। বাংলাদেশের লাইফলাইন চট্টগ্রাম বন্দর ১ মিনিটের জন্য বিচ্ছিন্ন হতে দেয় নাই। করোনা পরবর্তী মানবসৃষ্ট এই মহামারি সাহস ও দেশপ্রেম দিয়ে, বন্দরের প্রতি ভালোবাসা দিয়ে, বন্দরকে সচল রেখেছেন এজন্য বন্দরের সর্বস্তরের কর্মকর্তা কর্মচারী শ্রমিকদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। যেকোনও মূল্যে চট্টগ্রাম বন্দরকে রক্ষা করবো- এটা হোক সবার শপথ।
অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম সোহায়েলসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।