সারাদেশে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা পুরোদমে কাজ শুরু করেছেন। কোটা সংস্কার আন্দোলনের জেরে সারাদেশে ট্রাফিক পুলিশের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) বাংলাদেশ পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের তথ্য অনুযায়ী, সারাদেশে সর্বমোট ৬৩৯টি থানার মধ্যে ৬৩৪টি থানার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
মেট্রোপলিটনের ১১০টি থানার মধ্যে ১১০টি এবং জেলার ৫২৯টি থানার মধ্যে ৫২৪টি থানার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
এ ছাড়া ৫টি থানা সম্পূর্ণরূপে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এবং প্রয়োজনীয় লজিস্টিকস, আসবাবপত্রসহ সকল প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি ধ্বংসপ্রাপ্ত হওয়ায় থানার কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হয়নি। তবে আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে এই ৫ থানারও কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হবে।
এর আগে, রোববার (১১ আগস্ট) অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন জানান, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজে না ফিরলে পুলিশ সদস্যরা চাকরি হারাবেন।
রোববার স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও আইজিপিসহ সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে দাবি পূরণের প্রতিশ্রুতির পর কর্মবিরতিসহ সব কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন আন্দোলনরত পুলিশ সদস্যরা।
সোমবার (১২ আগস্ট) থেকে তারা কাজে যোগ দেওয়ারও ঘোষণা দেন।
উল্লেখ্য, সরকারি চাকরিতে কোটা বৈষম্যের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভকে ঘিরে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনায় বেশ কয়েকটি দাবি তুলে ধরে গত ৬ আগস্ট থেকে কর্মবিরতির ঘোষণা দেয় পুলিশ অধঃস্তন কর্মচারী সংগঠন।