অক্টোবর ৩, ২০২৪, ০৯:৩৩ পিএম
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য আমেরিকায় উচ্চশিক্ষার প্রসার ঘটিয়ে তাদেরকে বিশ্বমানের দক্ষতা অর্জন এবং একটি ‘নতুন বাংলাদেশ’ গঠনে অবদান রাখার মতো যোগ্যতাসম্পন্ন করে গড়ে তুলতে দু’দেশের জনগণের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করতে আগ্রহী।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর)রাজধানীর গুলশানের এডওয়ার্ড এম কেনেডি (ইএমকে) সেন্টারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের পর মার্কিন দূতাবাসের পাবলিক অ্যাফেয়ার্স কাউন্সেলর স্টিফেন ইবেলি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা আমেরিকান শিক্ষার প্রসারে আগ্রহী, যাতে বাংলাদেশীরা বিশ্বমানের আমেরিকান শিক্ষা নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরে এসে এই নতুন বাংলাদেশে অবদান রাখতে পারেন।’ ইবেলি বলেন, আনুমানিক ১৪ হাজার বাংলাদেশী শিক্ষার্থী বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলিতে নথিভুক্ত রয়েছে, যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ।
দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করার জন্য শিক্ষা বিনিময়ের সম্ভাবনার ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, ‘এটি আমাদের দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করার একটি চমৎকার উপায়।’ একাডেমিক প্রোগ্রামের পাশাপাশি মার্কিন দূতাবাস পেশাজীবী বিনিময় সফরেরও সুবিধা দেয়। এর আওতায় প্রতি বছর প্রায় ১০০ বাংলাদেশী পেশাদারকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হয়।
ইবেলি বলেন,‘আমরা সর্বদাই বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বাড়াতে আগ্রহী।’ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৪ হাজারেরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ রয়েছে, যেগুলো বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের একাডেমিক লক্ষ্য অর্জনের জন্য যথেষ্ট সুযোগ প্রদান করে।
ইবেলি বলেন ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা, বরিশাল ও রাজশাহীতে অবস্থিত এডুকেশনইউএসএ কেন্দ্রগুলো- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অধ্যয়নের বিষয়ে বিনামূল্যে তথ্য ও নির্দেশিকা প্রদান করে। তিনি শিক্ষার্থীদের যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালগুলোর তথ্যের জন্য দালালদের কোনো অর্থ প্রদান না করার আহ্বান জানান। কারণ এডুকেশনইউএসএ কেন্দ্রগুলিতে সমস্ত প্রয়োজনীয় বিবরণ বিনামূল্যে পাওয়া যায়।
আগের দিন, ইবেলি ও মার্কিন দূতাবাসের অন্যান্য কর্মকর্তারা ইএমকে সেন্টারে একটি সেশন চলাকালীন জাগো স্কুলের শিক্ষার্থীদের সাথে একটি ইন্টারেক্টিভ ও অনানুষ্ঠানিক সেটিংয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চ শিক্ষার সুযোগ নিয়ে আলোচনা করেছিলেন।
অধিবেশনটিতে ইউএস-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উপরও কথা-বার্তা হয়েছিল। ইবেলি সেখানে দুই দেশের মধ্যে সেতু হিসেবে শিক্ষার গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছিলেন।
জাগো ফাউন্ডেশন একটি অলাভজনক সংস্থা, বাংলাদেশের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মানসম্মত শিক্ষা ও সামাজিক সহায়তা প্রদানের জন্য নিবেদিত।
ফাউন্ডেশনের ১১টি স্কুল সারাদেশে ৪,৫০০ টিরও বেশি শিক্ষার্থীকে সেবা দেয়। এগুলো প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নত করতে বিনামূল্যে শিক্ষা প্রদান করে।
দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক ও একাডেমিক সম্পর্ক আরও গভীর করার লক্ষ্যে বাংলাদেশে শিক্ষামূলক উদ্যোগকে সমর্থন করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে।