প্রজন্ম চত্বর নয়, ভাঙা হলো উন্নয়ন প্রদর্শনের ডিজিটাল বিলবোর্ড

গোলাম রাব্বানী

জুলাই ১৩, ২০২৫, ০৫:৪৪ পিএম

প্রজন্ম চত্বর নয়, ভাঙা হলো উন্নয়ন প্রদর্শনের ডিজিটাল বিলবোর্ড

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরের থাকা একটি স্থাপনা ভেঙে ফেলা হয়েছে। তবে এই স্থাপনা গণজাগরণ আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ততা নেই বলে জানায় সংশ্লিষ্টরা। মূলত এটি ২০১৪ সালের পর সরকারের উন্নয়ন দেখানোর জন্য স্থাপন করা হয়েছিল।

মূলত শনিবার গভীর রাতে বুলডোজার দিয়ে এটি ভেঙে ফেলায়। এই খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর অনেকেই রাজনৈতিক ইস্যুর কথা বলেন।

এদিকে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ খালিদ মনসুর বলেন, “গণপূর্ত অধিদপ্তর ও সিটি কর্পোরেশন এটা ভেঙেছে। তারা নতুন স্থাপনা নির্মাণ করবে। আর এ ব্যাপারে তারাই বিস্তারিত বলতে পারবে। রাতে ভাঙার কারণে যেন কেউ মব সৃষ্টি না করে সেজন্য আমরা ওয়াকবিহাল ছিলাম।”

তবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা হাছিবা খান দ্য রিপোর্ট ডট লাইভকে বলেন, “সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে এই ধরনের কোন স্থাপনা রাতে ভাঙা হয়নি। আর সিটি কর্পোরেশনের অধীনে শাহবাগে এই ধরনের কোন স্থাপনাও নেই।”

এদিকে গণপূর্ত অধিদপ্তর থেকে এই বিষয়ে বিস্তারিত বলেননি কেউ। গণপূর্ত অধিদপ্তরের ঢাকা জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী পারভেজ মোহাম্মদ খাদেম বলেন, এই ধরনের স্থাপনা ভাঙা হয়েছে কিনা আমার জানা নেই।

এদিকে ডিএমপি জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মিছবাহ উদ্দিন এ বিষয়ে আপাতত মন্তব্য করেননি। এদিকে তত্ত্ববধায়ক প্রকৌশলী পদে একজন জানিয়েছেন, বিগত সরকারের সময় ডিজিটাল ব্যানার করার উদ্যোগ নেয়া হয়। কিন্তু পথচারী ও ড্রাইভারদের অসুবিধা হলে সে প্রকল্প বাদ দেয়া হয়। সেসময় ২০১৪ সালে শাহবাগে এই ধরনের স্থাপনা করে ডিজিটাল সম্প্রচারের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এটির সাথে গণজাগরণ আন্দোলনের কোন সর্ম্পক্ততা নেই।

গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠক লাকি আক্তার দ্য রিপোর্ট ডট লাইভকে বলেন, “শাহবাগে গণজাগরণের আন্দোলনরে সাথে সম্পর্কিত কোন স্থাপনা নির্মাণ করা হয়নি। পুরো শাহবাগের স্থানটি ধীরে ধীরে প্রজন্ম চত্বর নামে পরিচিত হলেও কোন স্থাপনা নির্মিত হয়নি। আমিও আজ সকালে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রজন্ম চত্বর স্থাপনা ভাঙার বিষয়ে শুনছি। কিন্তু এটার সাথে আন্দোলনের কোন সম্পৃক্ততা নেই।”

তবে কারা এটি ভেঙেছে বা কোনো কর্তৃপক্ষের নির্দেশে এটি করা হয়েছে কি না— সে বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

২০১৬ সালের নভেম্বরে হাইকোর্ট ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন রাস্তা, ফুটপাত, সড়কদ্বীপ, রোড ডিভাইডারে লাগানো সকল ব্যানার-ফেস্টুন তাৎক্ষণিক অপসারণের নির্দেশ দেওয়ার পর তা অপসারণে তৎপরতা দেখা যায় উভয় সিটি কর্পোরেশনেই। বিশেষ করে ঢকা উত্তরকে ব্যানার-পোস্টার মুক্ত করায় নাগরিক প্রশংসা পান প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক। কিন্তু দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এই ধরনের ব্যানার অপসারণে ধীর গতি দেখায়। তবে ধীরে ধীরে এই ব্যনারের চাহিদা কমে যাওয়ায় ডিজিটাল ব্যানারও কমতে থাকে।

Link copied!