রাজধানী ঢাকাসহ দেশের প্রায় সব জায়গায় বৃহস্পতিবার (০৫ অক্টোবর) থেকে অঝোর ধারায় ঝরছে বৃষ্টি। আর এই বৃষ্টির মধ্যেই রাতে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে ঢাকার কল্যাণপুর, আগারগাঁও, মিরপুর, ধানমন্ডি, সাভার, ক্যান্টনমেন্ট ও সাতমসজিদ এলাকা।
বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে আমিনবাজার পাওয়ার গ্রিড বিপর্যয়ের কারণে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে ঢাকার এসব এলাকা। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনেও এর প্রভাব পড়ে।
জানা যায়, আমিনবাজার পাওয়ার গ্রিড ফেল করার কারণেই এই বিভ্রাট। রাত ৩টা থেকে আবার বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে বলে জানান আমিনবাজার পাওয়ার গ্রিডের গ্রিড ইনচার্জ সাকিব আল হাসান।
বিদ্যুৎ সঞ্চালন ও বিতরণ কোম্পানি পিজিসিবির মুখপাত্র এবিএম বদরুদ্দোজা খান গণমাধ্যমকে বলেন, “রাতে আমিনবাজার গ্রিডে একটা সমস্যা হয়েছিল, সেটা রাতেই ঠিক করে ফেলা হয়েছে। ১২টা ৪২ মিনেটের দিকে আমিনবাজার ২৩০ কেভি সিটিতে আগুন লেগে গিয়েছিল। ফলে কল্যাণপুর, আগারগাঁও, মিরপুর, সাভার, ক্যান্টনমেন্ট, সাতমসজিদ এলাকায় বিদ্যুৎ চলে যায়। রাত ১টা ২৬ মিনিট থেকে মেরামত শুরু হয়ে রাত সাড়ে ৪টার দিকে সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যায়”।
আমিনবাজার গ্রিডের সমস্যার কারণে মিরপুর, আগারগাঁও ও কল্যাণপুরে ১৩২ কেভি সাবস্টেশনগুলো বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। পরে অন্যান্য গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ নিয়ে এসে এক ঘণ্টার মধ্যেই ৮০ শতাংশ বিদ্যুৎ চালু করা হয়। রাত সাড়ে ৪টার দিকে আমিন বাজার গ্রিড ঠিক হয়ে যাওয়ায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। টঙ্গী, বসুন্ধরা ও অন্যান্য কিছু গ্রিড থেকে তাৎক্ষণিক বিদ্যুৎ নিয়ে আসা হয়। ফলে রাতে গ্রিড বিপর্যয়ের কারণে সর্বোচ্চ ৪০ মেগাওয়াটের লোডশেডিং হয়েছে বলে জানান ঢাকার একাংশে বিদ্যুৎ বিতরণকারী কোম্পানি ডেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাওসার আমীর আলী।
বিদ্যুৎ সরবরাহকারী আরেক প্রতিষ্ঠান ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকাশ দেওয়ান বলেন, ‘রাত ১২টা ৫০ মিনিটের সময় কয়েকটা এলাকায় বিদ্যুৎ চলে গিয়েছিল। রাত আড়াইটার দিকে কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ দিতে পেরেছি। সব এলাকায় পুরোপুরি বিদ্যুৎ দেওয়া গেছে ভোর ৫টার সময়। এই সময়ের মধ্যে ২৫ মেগাওয়াটের মত লোডশেডিং হয়েছে। রাতের সময় হওয়ায় এবং বৃষ্টির মধ্যে গরম ততটা না থাকায় চাহিদা কম ছিল’।